সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ নিহত ৩

তাড়াশের নওগা ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামসিরাজগঞ্জে ২২ জুলাই (শনিবার) পৃথক দু’টি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে তাড়াশের নওগা ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামও রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।

সদর থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, তাড়াশের নওগা ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম শনিবার সকালে মোটরসাইকেলে করে তাড়াশ থেকে সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের দিকে আসছিলেন। পথে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নলকা-শিয়ালকোল আঞ্চলিক সড়কে বহুতী গ্রামের বটতলার কাছে তাড়াশ-সিরাজগঞ্জগামী শুভ-রুমানা পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-চ-৪৮০৯) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এক ঘণ্টা পর তিনি মারা যান। বাসটি দুর্ঘটনার পর রাস্তা পাশ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। পুলিশ বাসটি আটক করলেও চালক-হেলাপার পালিয়ে যায়। লাশ সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। 

অপরদিকে, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায় বাস উল্টে খাদে পড়ে দুজন নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার ভোররাত ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জ-সোনামুখী সড়কের মাদ্রাসা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের নাম মৃণাল চন্দ্র রায় (৩৫)। তিনি বাসের সুপারভাইজার ছিলেন। বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলা সদরের মিরের বাড়ি এলাকায়। আরেকজনের (৪০) পরিচয় জানা যায়নি।

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সমিত কুমার কুণ্ডু বলেন, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে যানজটের কারণে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সুমন এন্টারপ্রাইজ নামের যাত্রীবাহী বাসটি (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪৪-৮৮১১) বগুড়ার শেরপুর ও কাজীপুর হয়ে জেলা অভ্যন্তরীণ সড়ক দিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলো। ভোররাত ৪টার দিকে সোনামুখী এলাকার মাদ্রাসা মোড়ে বাসটি উল্টে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বাসের চালক সেসময় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এতে ঘটনাস্থলেই সুপারভাইজার ও আরেকজন বাসের নিচে চাপা পড়ে মারা যান। কাজীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। লাশ থানায় রাখা হয়েছে।

/এফএস/ 

আরও পড়ুন- ঝুঁকি যত বেশি, টাকা তত কম