রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন-বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার (২৮), কসাইপাড়ার দুলু আকন্দের ছেলে আলী আজম দিপু (২৫) ও কালিতলার জহুরুল হকের ছেলে রুপম (২৪)। গ্রেফতারের পর পুলিশের হেফাজতে থাকা অন্য আসামি হলেন খান্দার সোনারপাড়ার মোখলেসার রহমানের ছেলে আতিক (২৫)। সে গ্রেফতারের পরপরই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি।
এদিকে জেলা প্রশাসক নূরে আলম সিদ্দিকীর নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুস সামাদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নূরে আলম সিদ্দিকী সকালে বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মা ও মেয়েকে দেখতে যান। সেখানে তিনি বলেন, এখন থেকে তাদের দুইজনের চিকিৎসা ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে। এবং ওই ছাত্রীর লেখাপড়ার সব খরচও সরকার বহন করবে।
জেলা শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্নি শেখ হেলাল জানান, অনেতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তুফান সরকারকে শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, কলেজে ভর্তির বিষয়ে সাহায্যের নাম করে গত ১৭ জুলাই ওই ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে তুফান। পরে স্থানীয় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সহযোগিতায় উল্টো মেয়েটিকেই এ ঘটনার জন্য দায়ী করে এবং বিচারের নামে মাসহ মেয়েটিকে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। এরপর তাদের এলাকা ছাড়া করার জন্য এসিড মারার হুমকি দেওয়া হয়। শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরে তাদের চুল কেটে দিলে নির্যাতনের শিকার ওই মা-মেয়ে থানায় মামলা করেন। এরপর শুক্রবার রাতেই চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তুফান ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অন্যরা সহযোগিতার কথা স্বীকার করেছে। তুফানের বিরুদ্ধে একটি মাদক আইনের মামলা বিচারাধীন রয়েছে। শিগগিরই কাউন্সিলর রুমকি ও অন্য আসামিরা গ্রেফতার হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
/এনআই/এফএস/
আরও পড়ুন-
ধর্ষণের পর নির্যাতিতা ও তার মাকে ন্যাড়া: নারী কাউন্সিলরকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ
ধর্ষণের পর নির্যাতিতা ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া, শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৪