অস্ত্রোপচারের সময় প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় সাতজনের নামে মামলা

আল-মাহদি ইসলামিয়া ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের সময় প্রসূতির মৃত্যু হয়

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের সময় পান্না বেগম (২৮) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুতে মামলা হয়েছে। মৃত পান্নার স্বামী আলম সরদার বাদী হয়ে আল-মাহদি ইসলামিয়া ক্লিনিকের মালিক ও চিকিৎসকসহ সাতজনকে আসামি করে মামলাটি করেন। পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সায়েদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে ক্লিনিক থেকে আটক মারুফা খাতুন নামে (২৫)এ ক নার্সকে গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মারুফা খাতুন চারঘাট উপজেলার বাঘা এলাকার ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের শিশু বিভাগের নার্স।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান বলেন, ‘নার্স মারুফা খাতুনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যহত থাকবে।’

পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নাজমা নাহার বুধবার বিকেলেই ক্লিনিকটি পরিদর্শন করেন সিলগালা করে দিয়েছেন।

উল্লেখ, সন্তান প্রসবের অস্ত্রপচারের জন্য বুধবার দুপুরে উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামের দিনমজুর আলম সরদারের স্ত্রী পান্না বেগমকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বিকালে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক চিকিৎসক তার অস্ত্রোপচার শুরু করেন। এ সময় ওটিতেই ওই নারীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম ও মালিক শমসের আলী কৌশলে পালিয়ে যান। তারপরও প্রসূতির মৃত্যুর বিষয়টি স্বজনরা টের পাননি। পরে দীর্ঘ সময়েও অস্ত্রোপচার শেষ না হওয়ায় স্বজনরা ওটির দরজা দিয়ে উঁকি দেন। এ সময় তারা দেখেন, ওটিতে পান্নার লাশ পড়ে রয়েছে। এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতালটিতে ভাঙচুর শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে করে। এ সময় হাসপাতালটিতে একজন নার্স ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: সাত জনের মৃত্যুর পর উচ্ছেদ হলো রেল ক্রসিংয়ের অবৈধ স্থাপনা