রাবির দুই শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ কর্মীর ছুরিকাঘাত!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থীকে বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।  ছুরিকাঘাত করা শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে ছাত্রলীগের দাবি নতুন কমিটি ঘোষণার পর ছাত্রলীগের ওই কর্মী কোনও কর্মসূচিতে অংশ নেননি।
জানা যায়, ছুরিকাঘাতে আহত হৃদয় হাসান আইন বিভাগের মাস্টার্সের এবং মাহাবুবুর রহমান সুমন একই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ছুরিকাঘাত করা রায়হান উদ্দিন নোমান বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

রবিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে হৃদয় ও নোমানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নোমান হৃদয়কে মারধর করা শুরু করলে হৃদয় ও সুমনও উল্টো মারধর করা শুরু করেন। এসময় নোমানের সঙ্গে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ খান আহত হন। এক পর্যায়ে হঠাৎ ছুরি বের করে হৃদয় ও সুমনের পেটে আঘাত করেন নোমান। এরপর তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে হৃদয় ও সুমনকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হয়।

আহত হৃদয় হাসান বলেন, ‘আমার এক বান্ধবীকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল নোমান। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য আমি কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গ্রন্থাগারের সামনে যাই। এমন সময় হঠাৎ করে আমাকে আর সুমনকে মারধর করতে থাকে নোমান আর রাশেদ। এক পর্যায়ে নোমান প্রথমে আমাকে পরে সুমনকে ছুরি মারে।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘আমার আগামীকাল (সোমবার) পরীক্ষা। তাই লাইব্রেরিতে পড়াশুনা করছিলাম। বিকেলে চা-নাস্তা করতে নিচে নেমে দেখি নোমানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। সেখানে যেতেই হঠাৎ তারা আক্রমণ করে বসেন। আমাকেও মারধর করেন। এরই মধ্যে তাকিয়ে দেখি তাদের দু’জনকে ছুরি মারা হয়েছে। তাদের কথাকাটাকাটি বা দ্বন্দ্বের বিষয়ে কিছুই জানতাম না।’

ছুরিকাঘাত করা রায়হান উদ্দিন নোমানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমি ও সভাপতি গোলাম কিবরিয়া তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বলেছি। তবে নোমান ছেলেটি আগে হয়ত ছাত্রলীগ করতে পারে। সম্প্রতি সে ছাত্রলীগের কোনও কর্মসূচিতেই থাকে না। বরং ছুরিকাঘাতের শিকার সুমন আমাদের ছাত্রলীগ কর্মী।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পরেই আমি সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এখন পরিস্থিতি ভালো।’

/এসএমএ/