সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, দেশে অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছিল। তাদের বিরুদ্ধে। এসআই নুরে আলম বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার টিএমএসএস মহিলা মার্কেট মিলনায়তনে রেটিনা কোচিং সেন্টার আয়োজিত অনুষ্ঠানে জামায়াত-শিবিরের কিছু নেতাকর্মী সমবেত হয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়ে গিফট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী সেখানে ছিলো। সেখান থেকে অনেকেই পালিয়ে গেলেও ১২ জনকে আটক কর হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৩ জন হলেন-মাসুদ রানা, মোজাম্মেল হক এবং নাঈম। এ অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের কোনও অনুমতি ছিল না।
বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানায়, রেটিনা কোচিং সেন্টারের এই অনুষ্ঠানের আড়ালে আসন্ন দুর্গা পূজা ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল। শুক্রবার দুপুরে গোপনে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেকে পালিয়ে গেলেও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের ২ জন চিকিৎসকসহ ওই কলেজের ৮ জন ছাত্র এবং বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ২ জন ছাত্রকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী দাবি করেছে। তারা রেটিনা কোচিং সেন্টারের পরিচালনা পরিষদের সদস্য। রাত সোয়া ৮টায় এ খবর পাঠানো সময় তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
ওসি আরও জানান, মামলা না হওয়া পর্যন্ত আটককৃতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।