বগুড়ায় জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতাকর্মী আটক

-বগুড়া সদর থানা পুলিশ দুই চিকিৎসকসহ জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে টিএমএসএস মহিলা মার্কেট মিলনায়তনে রেটিনা কোচিং সেন্টার আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, দেশে অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছিল। তাদের বিরুদ্ধে। এসআই নুরে আলম বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার টিএমএসএস মহিলা মার্কেট মিলনায়তনে রেটিনা কোচিং সেন্টার আয়োজিত অনুষ্ঠানে জামায়াত-শিবিরের কিছু নেতাকর্মী সমবেত হয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়ে গিফট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী সেখানে ছিলো। সেখান থেকে অনেকেই পালিয়ে গেলেও ১২ জনকে আটক কর হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৩ জন হলেন-মাসুদ রানা, মোজাম্মেল হক এবং নাঈম। এ অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের কোনও অনুমতি ছিল না।

বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানায়, রেটিনা কোচিং সেন্টারের এই অনুষ্ঠানের আড়ালে আসন্ন দুর্গা পূজা ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল। শুক্রবার দুপুরে গোপনে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেকে পালিয়ে গেলেও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের ২ জন চিকিৎসকসহ ওই কলেজের ৮ জন ছাত্র এবং বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ২ জন ছাত্রকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী দাবি করেছে। তারা রেটিনা কোচিং সেন্টারের পরিচালনা পরিষদের সদস্য। রাত সোয়া ৮টায় এ খবর পাঠানো সময় তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

ওসি আরও জানান, মামলা না হওয়া পর্যন্ত আটককৃতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।