নিহত শিলা বেগম (১৯) উপজেলার মাধববাড়িয়া গ্রামের আলাম উদ্দিনের মেয়ে এবং বড় পুকুড়িয়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে সজীবের স্ত্রী।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি সজীবের কাছে একটি স্মার্টফোন চায় শিলা। কিন্তু স্মার্টফোন কিনে না দেওয়ায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে সজীব ঢাকায় ফিরে যান। এরই জেরে হয়ত শিলা আত্মহত্যা করেছে।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সজীব ঢাকায় চাকরি করেন। প্রায় এক বছর আগে তাদের বিয়ে হলেও এখনও স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাননি সজীব। বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় মাঝে মাঝে ছুটিতে শিলার বাড়ি আসতেন সজীব। রবিবার মধ্য রাতে শিলা তার বাবার বাড়িতেই ইঁদুর মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সোমবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘শিলার আত্মহত্যার বিষয়ে বিভিন্ন কারণ শোনা যাচ্ছে। কেউ বলছেন বাবার পরিবারের সঙ্গে কলহের জেরে শিলা আত্মহত্যা করেছে আবার কেউ বলছেন স্বামীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে তদন্ত শেষেই প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
আরও পড়ুন:
‘টিফিনের সময় পেট ভইরা কলের পানি খাই’