দুই শিশুর বুদ্ধিতে ইঞ্জিনসহ ৩২টি বগির একটি তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেল। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রেল লাইন ভাঙা দেখে লাল মাফলারটি উঁচু করে তারা উড়াতে থাকে। তখন তেলবাহী ট্রেনটি থেমে যায়। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী স্টেশনের ৪০০ মিটার পূর্ব দিকে ঝিনা রেলগেটে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের আড়ানী স্টেশনের মাস্টার নয়ন আহম্মেদ।
ওই দুই শিশু হলো ঝিনা গ্রামের সুমন হোসেনের ছেলে সিহাব হোসেন (৬) ও একই গ্রামের মহিদুল ইসলামের ছেলে টিটোন ইসলাম (৭)। সিহাব হোসেন ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি ও টিটোন ইসলাম দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
দুই শিশু জানায়, তারা পাশের একটি ক্ষেত থেকে বাড়ি ফিরছিল। এসময় দেখে রেল লাইন ভাঙা। আর ট্রেন আসতে দেখে তারা তাদের কাছে থাকা লাল মাফলারটি দিয়ে ট্রেনটি থামিয়ে দেয়।
ট্রেন চালক কেএম মহিউদ্দিন বলেন, ‘খুলনা থেকে রাজশাহীতে তেল নিয়ে আসছিললাম। পথে আড়ানী স্টেশনের একটু দূরে ঝিনা রেলগেট এলাকায় সিহাব ও টিটোন নামের দুই ছেলে মাফলার দিয়ে সিগন্যাল দেয়। প্রথমে ভাবলাম থামবো না, তারপর ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করে ভাঙা স্থান থেকে ২০ মিটার দূরে ট্রেন থামিয়ে দিলাম। ট্রেন থামিয়ে নেমে এসে দেখি রেল লাইন ভাঙা। পরে আড়ানী স্টেশনের মাস্টার নয়ন আহম্মেদকে জানানো হয়। তবে এর দুই ঘণ্টা পরে আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
তেলবাহী ট্রেনের পরিচালক আরশেদ আলী জানান, হঠাৎ ট্রেন থামিয়ে দেওয়ার কারণে চালকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলাম। পরে দেখি রেল লাইন ভাঙা। বিষয়টি রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক অবহিত করি।’