বগুড়া পাসপোর্ট অফিসে ১ বছরে ১৪ কোটি টাকা রাজস্ব আয়

বগুড়ুার খান্দার এলাকায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের বহির্ভাগবগুড়ার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে গত এক বছরে ইস্যু হয়েছে ৩৭ হাজার পাসপোর্ট। এর মধ্য দিয়ে এসেছে ১৪ কোটি ১৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা রাজস্ব। এজন্য সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দালালদের দৌরাত্ম্য কমে যাওয়ায় গ্রাহকসেবার মান বেড়েছে। সেজন্য উল্লেখযোগ্য রাজস্বও এসেছে।

জানা গেছে, প্রতিদিন এই কার্যালয়ে প্রায় ২০০ আবেদনপত্র জমা পড়ে। তবে এখন আর বেশি টাকা খরচ করে দালালদের শরণাপন্ন হতে হয় না। একটি সাধারণ পাসপোর্ট ২১ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে লাগে ৩ হাজার ৪৫০ টাকা। আর ৭ কার্যদিবসে জরুরি পাসপোর্ট পেতে গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে ৬ হাজার ৯৫০ টাকা।
সূত্র জানায়— ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ২ হাজার ৮৫০, ফেব্রুয়ারিতে ২ হাজার ৪৪১, মার্চে ২ হাজার ৬২০, এপ্রিলে ২ হাজার ৫৩৩, মে মাসে ২ হাজার ২২৮, জুনে ১ হাজার ৭১৯, জুলাইয়ে ২ হাজার ৯৫৮, আগস্টে ২ হাজার ৯০৭, সেপ্টেম্বরে ৩ হাজার ৫৩৮, অক্টোবরে ৫ হাজার ১০৮, নভেম্বরে ৪ হাজার ৯৪১ ও ডিসেম্বরে ৩ হাজার ৫৪১টি পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গত মাসে ৪ হাজার ৫২টি পাসপোর্ট পেয়েছেন আবেদনকারীরা।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহে টিআইবি’র ইয়েস গ্রুপের সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে গ্রাহকদের ফরম পূরণ করে দেন। এ প্রসঙ্গে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস বগুড়ার সহকারী পরিচালক সাহজাহান কবির মনে করেন, এ কাজে কাউকে নিয়োগ করা গেলে জনগণকে আরও বেশি সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। কারণ অনেক গ্রাহক পাসপোর্টের আবেদন ফরম সঠিকভাবে পূরণ করতে পারেন না।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আরও জানান— পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহে অসুস্থ, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের সেবায় বিশেষ কলিংবেলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। হেল্পডেস্কের মাধ্যমে গ্রাহকের সময় সাশ্রয়ের ব্যবস্থা ছাড়াও ছিল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাক্স স্থাপন। সেবা বঞ্চিতরা তাদের অভিযোগ লিখে জমা দিয়েছেন সেখানে।
জানা যায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎসাহিত করতে গ্রাহকরা তাদের সেবার মূল্যায়ন করবেন। এর ভিত্তিতে প্রতি মাসে ভালো কাজের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক সাজাহান কবির। সপ্তাহের সোম ও মঙ্গলবার নিয়মিত গণশুনানি করে থাকেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘গত এক বছরে গণশুনানিতে অংশ নিয়েছেন ১ হাজার ৯৫৮ জন গ্রাহক। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৯৩ জন গ্রাহকের সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। বাকি গ্রাহকদের সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের এই কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ শুরু করলে অবশ্যই সুফল পাওয়া যায়। আমাদের কার্যালয়কে এখন দালালমুক্ত বলা যায়। তবে কোনও গ্রাহক অফিসের বাইরে দালালের খপ্পড়ে পড়লে সেক্ষেত্রে কিছু করার নেই।’