বঙ্গবন্ধুর হাতে লাগানো হৈমন্তি গাছ বাঁচাতে নাটোরে বিশেষজ্ঞরা

বঙ্গবন্ধুর হাতে লাগানো হৈমন্তি গাছ বাঁচাতে নাটোরে বিশেষজ্ঞরাজাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে লাগানো দুর্লভ একটি হৈমন্তি গাছ বাঁচাতে বিশেষজ্ঞ দল উত্তরা গণভবন পরিদর্শন করেছেন। বিশেষজ্ঞ দলে উদ্যানতত্ত্ববিদ ও কীটতত্ত্ববিদ ছাড়াও উদ্ভিদ রোগ তত্ত্ববিদ উপস্থিত ছিলেন।

নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রাজ্জাকুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাঞ্চলীয় বাসভবন এই উত্তরা গণভবনে দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে এসেছিলেন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। উত্তরা গণভবনে তাঁর স্মৃতিস্বরুপ ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি একটি হৈমন্তি গাছ রোপন করেন। দীর্ঘদিন অযত্ন আর অবহেলায় গাছটি মৃতপ্রায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন কৃষি সচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন যাতে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়ে গাছটি রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল উত্তরা গণভবন পরিদর্শন করলেন।

মঙ্গলবার বিকালে বিশেষজ্ঞরা গণভবনে পৌঁছেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন,  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজ্জাকুল ইসলাম, এনডিসি অনিন্দ্য কুমার, নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম, নাটোর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক মেফতাহুল বারি এবং উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের উপ-পরিচালক ভবসিন্ধু রায়।

বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্ব দেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ফুল বিজ্ঞানী ড. আনজুমান আরা। এসময় তার সঙ্গী ছিলেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিশিষ্ট উদ্ধিদরোগ তত্ত্ববিদ ড. মাফরুহা আফরোজ এবং কীটতত্ত্ববিদ ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.শাহাদত হোসেন।

এক প্রশ্নের জবাবে রাজ্জাকুল ইসলাম দাবি করেন, দুর্লভ হৈমন্তি গাছ ছাড়াও নানা সমস্যা জর্জরিত একটি পারিজাত গাছও দেখেছেন বিশেষজ্ঞ দল। তিনি দাবি করেন, এ বিষয়ে গবেষণা করে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে লাগানো হৈমন্তি গাছ আর পারিজাত গাছটি বাঁচাতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন বিশেষজ্ঞ দলটি।