পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নিহত ফজলে রাব্বীর বাড়ি আক্কেলপুরের রোয়াইর গ্রামে। সে এবার জয়পুরহাট শহরের শহীদ জিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। বৃহস্পতিবার তার শেষ পরীক্ষা ছিল। সখ করে বাবা সেলিম রেজা তাকে সুজুকি জিক্সার মোটরসাইকেল কিনে দেন। সেই মোটরসাইকেলে চোখ পড়ে প্রতিবেশী সওদাগর পাড়া মহল্লার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রেজার। রেজা মাঝে মধ্যে টাকা ধার চাইতো ফজলে রাব্বীর কাছে। কিছু দিন আগে তার মোটরসাইকেলও চায়। কিন্তু ফজলে রাব্বী তা দিতে অস্বীকার করলে ক্ষুব্ধ হয় রেজা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক পথে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ফজলে রাব্বী। এসময় গতিরোধ করে রেজা তার কাছে আবারও মোটরসাইকেল চায়। কিন্তু রাব্বী তা প্রত্যাখ্যান করলে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে নিজের ওষুধের দোকান থেকে হকিস্টিক এনে তার মাথায় আঘাত করে রেজা। গুরুতর আহত অবস্থায় রাব্বীকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার ডা. আবু মনছুর মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ফজলে রাব্বীকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
জয়পুরহাট সদর থানার ওসি (তদন্ত) মমিনুল হক জানান,‘ফজলে রাব্বীর মোটরসাইকেল না পেয়ে প্রতিবেশী রেজা তাকে হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে। এতে ফজলে রাব্বীর মৃত্যু হয়। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’