রাসিক নির্বাচন: মেয়র প্রার্থী হিসেবে লিটনকে একক প্রার্থী ঘোষণা করে প্রস্তাবনা

01রাজশাহী সিটি নির্বাচনে (রাসিক) ১৪ দলের একক প্রার্থী হিসেবে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (১৮ জুন) জোটের বৈঠকে একক প্রার্থী হিসেবে তাকে ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১৯ জুন) রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভায় লিটনকে একক প্রার্থী ঘোষণা করে কেন্দ্রে প্রস্তাবনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে নগর আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রস্তাবনা নিয়ে ঢাকা যাবেন নেতারা। এছাড়াও আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় এই রাজশাহী সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নামও চূড়ান্ত করে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে।

দলীয় সূত্র জানায়, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৪ দলের একক প্রার্থী হিসেবে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার সকালে রাজশাহী চেম্বার ভবনে ১৪ দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার ডাকা হয়। সভায় একক প্রার্থী হিসেবে লিটনকে ঘোষণা করে তার নাম কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করে কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এ সভায়।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন বলেন, ‘সোমবার সকালে রাজশাহী চেম্বার ভবনে ১৪ দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় খায়রুজ্জামান লিটন, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, মহানগর সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু, জাসদ মহাগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলীসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভা থেকে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে খায়রুজ্জামান লিটনকে একেক প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়।’

লিমন আরও বলেন, ‘দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগেই রাসিক নির্বাচনে খায়রুজ্জামান লিটনকে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন। সেই হিসেবে লিটন মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তার বাইরে অন্য কোনও প্রার্থীর কথা আমরা চিন্তাই করিনি। এরপরও আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রে প্রস্তাব পাঠাবো।’

মহানগর সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, ‘লিটনের বাইরে আমরা বিকল্প কিছু ভাবছি না। সে কারণেই দলের একক প্রার্থী হিসেবে বৈঠক থেকে তাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিতে দলের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।’

তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনজনের জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। তবে এরইমধ্যে আমরা ১২টি সাধারণ ওয়ার্ডে এবং ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একক প্রার্থী বাছাই করেছি। এসব ওয়ার্ডে একক প্রার্থীকেই আমাদের পক্ষ থেকে সমর্থন দেওয়া হবে। তবে মেয়র পদে যেন কোনও ধরনের প্রভাব না পড়ে এ কারণে অন্যান্য ওয়ার্ডের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের ওপরই ছেড়ে দেওয়া হবে। এসব ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী থাকায় কাউকেই আওয়ামী লীগের সমর্থন দেওয়া হবে না।’

রাজশাহীতে মেয়র পদে প্রথম ভোট হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। সেবার জিতেছিলেন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু। ২০০২ সালে দ্বিতীয় নির্বাচনেও জয় পান তিনি। ২০০৮ সালে মিনু কারাগারে থাকায় ভোটে দাঁড়াননি। বিএনপির প্রার্থী করে সে সময়ের যুবদল নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের ওই নির্বাচনে জিতেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

উল্লেখ, এবার রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ৩০টি সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন। এ সিটি করপোরেশনে এবারও ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে ১৩৭টি।