রাজশাহীতে ফিরেই নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে লিটন

এক ভোটারের সঙ্গে কোলাকুলি করছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনঢাকা থেকে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে রাজশাহীতে ফিরেই নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোটারদের কাছে গেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি তাদের মনের কথাগুলো শুনেছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘আমাদের মেয়র প্রার্থী লিটন ভাই রাতে রাজশাহীতে এসে পৌঁছেন। এরপর দুপুর থেকে তিনি নেতাকর্মী ও ভোটারদের কাছে গিয়ে কুশল বিনিময় করেছেন। সেইসঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা তাদের কাছ থেকে শুনেছেন। তিনি শেষ দিন ২৮ জুন মনোনয়নপত্র জমা দেবেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ঢাকা থেকে রাজশাহী ফিরে সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরীর ২৩নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নেতাকর্মী, ভোটার ও এলাকাবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় খায়রুজ্জামান লিটনকে কাছে পেয়ে এলাকাবাসী তাদের সমস্যার কথা ও দাবিগুলো তুলে ধরেন। খায়রুজ্জামান লিটন এসব সমস্যা ও দাবিগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সমাধান ও বাস্তবায়নে আশ্বস্ত করেন।

রাজশাহী নগরীর ২৩নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচআনি মোড় এলাকার মুনিরা বেগম ও নূর জাহান আওয়ামী লীগের প্রার্থী লিটনকে বলেন, ‘এ এলাকার রাস্তঘাটের সমস্যা। ঘরে ঘরে বেকার যুবক আছে। আপনি যখন মেয়র ছিলেন তখন ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছিল। কিন্তু, গত পাঁচ বছরে কোনও উন্নয়ন হয়নি, আপনি ছাড়া কেউ খোঁজ-খবরও নেয়নি। এ সময় খায়রুজ্জামান লিটন তাদের বলেন, আমি মেয়র থাকার সময় এলাকার রাস্তঘাটের উন্নয়ন এবং অন্যান্য সমস্যা সমাধান করেছিলাম। গেল বার আমি নির্বাচিত না হওয়ার কারণে উন্নয়ন হয়নি। আগামী নির্বাচনে আমাকে আবারও একবার সুযোগ দেন, আমি আপনাদের পাশে থাকবো। এলাকার উন্নয়ন ও দাবিগুলো পূরণে কাজ করবো।’

ভোটারদের দ্বারে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনপাঁচআনি মোড় এলাকার অনেক জায়গাজুড়ে পদ্মাপাড়ে সরকারি জমিতে বসতবাড়ি গড়ে উঠেছে। এসব বসতবাড়ির বাসিন্দাদের মধ্যে রুবি খাতুন, সুমাইয়া বেগম ও সোনা বানু মেয়র প্রার্থী লিটনের কাছে দাবি করে বলেন, ‘গত নির্বাচনে বিএনপি জামায়াতের লোকেরা আমাদের বলেছিল— আপনি নির্বাচিত হলে আমাদের উচ্ছেদ করে নাকি এখানে পার্ক করা হবে। ভুল বুঝে ওই ভয়ে আমরা আপনাকে ভোট দেইনি। এবারও একই ধরনের কথা বলা হচ্ছে। এখানে আমাদের স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করে দেবেন।’

এ সময় খায়রুজ্জামান লিটন এলাকাবাসীকে আশ্বস্থ করে বলেন, ‘আপনাদের ঘরের একটি ইট ও টিনও কেউ খুলতে আসেনি। গত নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপি ও হেফাজত আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছিল। এবারও চালাচ্ছে। তবে, এবার আর অপপ্রচারকারীদের প্রশয় দেবেন না। এখান থেকে আপনাদের উচ্ছেদ করা হয়নি, আগামীতেও হবে না।’

জনসংযোগকালে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার প্রমুখ।