বেঞ্চের ওপর ওঠায় শিক্ষার্থীদের পেটালেন প্রধান শিক্ষক

আহত আশাবৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় বেঞ্চের ওপর উঠে দাঁড়িয়েছিল প্রথম শ্রেণির ৫ শিক্ষার্থী। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক তাদের পেটান। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় জাকিয়া সুলতানা আশাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার বগুড়া পুলিশ লাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পশ্চিম) মকবুল হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষক অন্যায় করেছেন।অভিভাবকরা অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্লাস ছুটি হলেও রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টির কারণে শিশুরা বাড়িতে যেতে পারেনি।  প্রথম শ্রেণির ছাত্রী আশা, মনিকা, সোহানা, সাবিহা ও রাহামনি বেঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখছিল। এতে প্রধান শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক ক্ষিপ্ত হন। তিনি স্কেল দিয়ে ৫ শিশুকে আঘাত করেন। শিশুরা ভয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। খবর পেয়ে অভিভাবকরা এসে বাচ্চাদের বাড়িতে নিয়ে যান। আশার বাবা কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মকবুল হোসেনকে অবহিত করেন। তিনি এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। 

জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাচ্চাদের মারা অন্যায়। তারা মেয়ে হাত ও পিঠে আঘাত পেয়েছে। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন এবং তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন।

মনিকার বাবা সাব-ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষকের আচরণ খুবই খারাপ। তিনি তুচ্ছ ঘটনায় তার মেয়েসহ ৫ শিশুকে মারধর করেছেন। তিনিও প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।

প্রধান শিক্ষক জানান,শিশুরা কাদা পায়ে বেঞ্চে উঠে নাচানাচি করছিল। তাই তাদের সামান্য শাসন করা হয়েছে। কাউকে মারধর করা হয়নি। স্কুলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে তাই তিনি এ নিয়ে লেখালেখি না করতে অনুরোধ করেন এ প্রতিবেদককে।

ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মকবুল হোসেন জানান, শিশুদের শারীরিকভাবে আঘাত করার বিধান নেই। প্রধানমন্ত্রীও এ ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করেছেন। এরপরও প্রধান শিক্ষক শিশুদের মারধর করে অন্যায় করেছেন। তিনি বিষয়টি জানার পর ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য ও রিজার্ভ অফিসারকে স্কুলে পাঠিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। শিশুদের অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।