স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ১

গ্রেফতার

পাবনার সুজানগরে স্কুল ছাত্রীকে স্থানীয় কাউন্সিলরের বাড়িতে নিয়ে সংঘদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত চার আসামির মধ্যে শুক্রবার বিকেলে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুজানগর থানার ওসি শরিফুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। এ ঘটনায় নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) সুজানগর থানায় আনাই খাঁ (৩৫) এবং নায়েব আলীর (৩৪) নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত দুইজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর শুক্রবার বিকালে সুজানগর থানা পুলিশ আনাই খাঁকে গ্রেফতার করে।  আনাই সুজানগর পৌরসভার ভবানীপুর খাঁপাড়া এলাকার মৃত জয়নাল খাঁর ছেলে। অপর আসামি নায়েব আলী এখানো পলাতক রয়েছে। নায়েব আলী সুজানগর পৌরসভার কাউন্সিলর সাহেবুল হাসানের ছোট ভাই।

মামলার বিবরণে জানা যায়,নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর বাড়ি নাটোর জেলায়। সে সুজানগরে বড় বোনের বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতো। সুজানগর পৌরসভার ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ও সুজানগর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র সজিব হোসেনের সঙ্গে ওই স্কুল ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা দিকে ওই ছাত্রী ২০ হাজার টাকা ও তিন ভরি সোনার গহনা নিয়ে সজিবের সঙ্গে বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। পথে ওই দুই যুবক তাদের ধরে এবং বিয়ে দিয়ে দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় কাউন্সিলর সাহেবুলের ছোট ভাই নায়েব আলীর বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে নায়েব আলী এবং আনারসহ ৬/৭ জন মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার কাছ থেকে বিয়ের জন্য আনা ২০ হাজার টাকা এবং প্রায় ৩ ভরি সোনার গহনা  কেড়ে নেয়।

পরে খবর পেয়ে মেয়ের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাড়িতে নিয়ে যায়।পরে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সুজানগর থানার ওসি শরিফুল আলম জানান, এজাহারে ২ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করা হয়েছে। কারণ মেয়েটি তাদের নাম পরিচয় বলতে পারছে না।

ওসি আরও জানান, শুক্রবার আসামি আনাইকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।