বগুড়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ

বগুড়াবগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খরনা নাদুরপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের বাকবিতণ্ডাও হচ্ছে। একই অবস্থা উপজেলার আরও কয়েকটি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায়। ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে প্রতিকার পেতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ ফি নির্ধারিত করেছে। বিজ্ঞান বিভাগে এক হাজার ৮৩৫ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে এক হাজার ৭১৫ টাকা। কিন্তু অনেক বিদ্যালয়ে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে নানা অজুহাতে বাড়তি ফি আদায় করছে।

খরনা নাদুরপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন এসএসসি পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, তাদের কাছে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য দুই হাজার ৬০০ টাকা এবং মানবিক বিভাগের জন্য আড়াই হাজার ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া সঙ্গে সেপ্টেম্বর থেকে আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ মাস মাসের বেতন ২৫০ টাকা, বিদ্যালয় উন্নয়ন ফি ১০০ টাকা যোগ করে মোট দুই হাজার ৯৫০ ও দুই হাজার ৮৫০ টাকা করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আরো জানিয়েছেন, আগে তাদের মাসিক বেতন দিতে হতো না। মিজানুর রহমান তাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে দশম শ্রেণির জন্য ৫০ টাকা বেতন দিতে বাধ্য করছেন। এছাড়াও শ্রেণিভেদে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেতন নেওয়া হচ্ছে। এসব অনিয়ম নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের বাকবিতণ্ডা ঘটেছে।

অন্যদিকে খরনা নাদুরপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় ছাড়াও দক্ষিণ পারতেখুর উচ্চ বিদ্যালয়, রানীরহাট উচ্চ বিদ্যালয়, মাঝিরা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মানিকদ্বিপা দিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়সহ উপজেলার ৩১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩৩টি মাদ্রাসায় এসএসসি/দাখিলের ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এসব বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, কর্তৃপক্ষ সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত নিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে খরনা নাদুরপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান জানান, তিনি গত বছরের ২৬ নভেম্বর থেকে ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দাবি করেন, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছে ফরম-ফিলাপে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে না। ম্যানেজিং কমিটির সিন্ধান্তে বিদ্যালয় পরিচালনা করা হয়। উপজেলা

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌফিক আজিজ জানান, অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।