বগুড়ায় শিক্ষার্থীর ঝলসানো লাশ উদ্ধার, ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৫

নিহত নাঈম হোসেনবগুড়ার নাঈম হোসেন (২০) নামে এক ছাত্রকে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) সকালে সারিয়াকান্দি বাজারের পূর্ব পাশে নাঈমের গলা কাটা ও আগুনে ঝলসানো লাশ উদ্ধার করা হয়। তার ব্যবহৃত মোটরবাইক ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি।

আটককৃতরা হলো, সারিয়াকান্দি পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম অনন্ত শ্রাবণ বিশু (২০),বাবু মিয়া (১৯),আতিকুর রহমান (১৮),মনির হোসেন (২০) ও সাব্বির হোসেন (১৮)।

সারিয়াকান্দি থানার ওসি আল-আমিন জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, নাঈম গোলাবাড়ি গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ইন্তেজার রহমানের ছেলে। সে বগুড়া ডিপ্লোমা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিল।

নাঈমের মা নাজমা বেগম জানান, তিনি সম্প্রতি তার ছেলেকে একটি মোটরবাইক কিনে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নাঈম বাড়িতে নাস্তা করছিল। এসময় মোবাইল ফোনে রিং আসে। কলেজে যাওয়ার কথা বলে সে তড়িঘড়ি করে বাইক নিয়ে বের হয়ে যায়। রাতে বাড়িতে না ফেরায় ও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। নাঈমের কয়েক বন্ধু রাতে তাকে জানায়, নাঈম সারিয়াকান্দিতে আছে, সকালে বাড়ি ফিরবে। তারা নাঈমকে খোঁজার জন্য কিছু টাকাও চায়। শুক্রবার সকালে সারিয়াকান্দি বাজারের পূর্ব পাশে একটি গোয়াল ঘরের কাছে গলা কাটা ও আগুনে ঝলসানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে নাঈমের কয়েক বন্ধুকে নিয়ে তিনি সারিয়াকান্দি থানায় গিয়ে পায়ের বিশেষ চিহ্ন দেখে লাশ শনাক্ত করেন। পুলিশ এ হত্যায় জড়িত সন্দেহে তিন সহপাঠীসহ ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।

মায়ের ধারণা,  মোটরবাইক ছিনিয়ে নিতেই বন্ধুরা তার ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।

সারিয়াকান্দি থানার ওসি আল-আমিন এবং ওসি (তদন্ত) এনায়েতুর রহমান জানান, নাঈমের লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক ৫ জন বৃহস্পতিবার নাঈমের সঙ্গে ঘোরাফেরা করেছে। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত পুলিশ তার বাইক ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে পারেনি। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

ছাত্রলীগ নেতা বিশুকে প্রসঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহান সাগর জানান, তাকে কিছুদিন আগে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশু বর্তমানে ছাত্রলীগের কেউ নয়।