লিখিত বক্তব্যে জয়পুরহাটের সালনা মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাম অফিস সহকারি লুনা চক্রবর্তীর লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, বিগত সময়ে ফিল্ড ডিরেক্টর উত্তম দেওয়ান প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন। তিনি তার স্ত্রী, ভাই, ভাগ্নেকে সম্পৃক্ত করে এফসি কমিটি গঠন করে ‘চার্চেস অব গড মিশনের’ প্রকল্প পরিচালনা করে আসছেন। যা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি ও নীতিমালা পরিপন্থী। তিনি ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের বিভিন্ন অর্থ বছরে ৩৬ কোটি টাকা এনজিও ব্যুরোর মাধ্যমে গ্রহণ করেছেন, যার যথাযথ ব্যবহার হয়নি।
এছাড়া চার্চেস অব গড মিশনের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ না করে ২০-২৫ বিঘা জমি বিক্রি, ছাত্রছাত্রীদের জন্য দাতা সংস্থার দেওয়া অর্থ, উপবৃত্তির টাকা, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি বাণিজ্যের টাকা, স্টাফ কোয়ার্টার, স্কুল ঘর, গির্জা মেরামরে জন্য বরাদ্দ অর্থ, ফসল বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থসহ বিভিন্ন মণ্ডলীর গাছ বিক্রির অর্থসহ আনুমানিক অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন।
গত ২৭ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে আবারও তিনি (লুনা) অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া জয়পুরহাট মিশন বালিকা বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে তিনটি মামলা করা হয়েছে। এনজিও বিষয়ক ব্যুরো ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করার প্রেক্ষিতে বগুড়া জেলা প্রশাসককে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা আরও দাবি করেছেন, অভিযুক্ত উত্তম দেওয়ান নিজের দুর্নীতির তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঢাকায় থাকা তার অনুসারী ডা. জন থিউটনিয়াস কস্তাকে ‘চার্চেস অব গড মিশনের’ ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দিতে চাইছেন। অভিযুক্ত উত্তম দেওয়ান যদি ডেপুটি হিসেবে তার পছন্দের লোক নিয়োগের সুযোগ পান তাহলে মানবসেবামূলক প্রতিষ্ঠানটি আরও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ‘চার্চেস অব গড মিশনের’ সাইমন হাঁসদা, সুজিত টুটু, অনুপ চক্রবর্তী, ভুট্টো মারান্ডী, শিমুল হেমরণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে বগুড়া