নাটোর সদর আসনে প্রচারে পিছিয়ে বিএনপি, এগিয়ে আ. লীগ

আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রচারনাটোর-২ (সদর ) আসনে নির্বাচনি প্রচারে এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি একেবারেই প্রচারে নেই বললেই চলে। সদর উপজেলা এবং নলডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটি। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন প্রার্থী।

ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন সাবিনা ইয়াসমিন ছবি। তিনি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর স্ত্রী। দুলুর প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী বিএনপির সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাচ্চু ১৪ ডিসেম্বর রাতে গ্রেফতার হন। একইসঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী শাহ আলম। ফলে ধানের শীষ প্রতীকে মাঠে প্রচার  এখনও নামতে পারেনি বিএনপি। দু’টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নৌকা, লাঙ্গল এবং হাত পাখার পোস্টারে ছেয়ে গেলেও ধানের শীষ পোস্টার সেভাবে দেখা যায়নি।

তবে প্রচারে এগিয়ে রয়েছে নৌকার প্রার্থী। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল দিনরাত প্রচার করছেন। প্রতিটি গ্রাম, মহল্লা ও ইউনিয়নে করা হয়েছে তার প্রচারণা ক্যাম্প। দলীয় নেতাকর্মীরা দিনরাত প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি চলছে মাইকিং।

শিমুল নিজেও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সদর আসনের প্রতিটি ঘরে ঘরে ভোট চাচ্ছেন। নির্দেশনা দিচ্ছেন নেতাকর্মীদের।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রচারলাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবর রহমান সেন্টু বিভিন্ন এলাকায় ভোট চাওয়ার পাশাপাশি মাইকিং চলছে। হাত পাখার প্রার্থী আজিজার রহমান আমেলও মাইকিংয়ের পাশাপাশি ভোট প্রার্থনা করছেন বিভিন্ন এলাকায়।

সব মিলিয়ে অন্য তিন প্রার্থী ভোটের মাঠে থাকলেও বিএনপির প্রচারে পিছিয়ে রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক জানান, দুলু, শহিদুল ইসলাম বাচ্চু আর শাহ আলমসহ দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার হওয়ায় প্রচারে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া হুমকি-ধামকি আর বিএনপির প্রচারণার মাইক ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিএনপির মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তবে সবকিছু কাটিয়ে উঠে শিগগিরই মাঠে নামবে বিএনপি।