নাটোরে ধানের শীষের প্রচারণায় যুবলীগের হামলার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন সাবিনা ইয়াসমিন ছবি নাটোর-২ (সদর) আসনে ধানের শীষের নির্বাচনি প্রচারণার সময় যুবলীগের হামলায় তিন মহিলাসহ ৭ জন আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর সহধর্মিনী ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন ছবি এই অভিযোগ করেন। জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে রবিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই অভিযোগ করেন।

সাবিনা ইয়াসমিন ছবি বলেন, ‘রবিবার দুপুরের কিছু আগে শহরের স্টেশন এলাকার বউবাজারে তিনি নির্বাচনি প্রচারণায় যান। এ সময় যুবলীগকর্মী বউ বাজার এলাকার বেঙ্গা প্রামাণিকের ছেলে আমিন, জলিলের ছেলে রবিউল, বিশুর ছেলে চঞ্চল, মোস্তফার ছেলে বাবু, মুজিবরের ছেলে মনির ও কবিরের ছেলে সেলিমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাদের ওপর হাতুড়ি নিয়ে আক্রমণ চালাযন। এই সময় তার সঙ্গী বিএনপি নেতা জালাল, যুবদল নেতা ফিরোজ শেখ রকেট, ওবায়দুর রহমান তনু, শরিফুল ইসলাম মুকুল, মহিলা দলের কর্মী আই মন বিবি, আসমা খাতুন পলি ও রাবেয়া বেগম মারাত্মক আহত হযন। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সাবিনা ইয়াসমিন ছবি বলেন, ‘নৌকা প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুল তাকে বোন ডেকে নির্দ্বিধায় প্রচারণা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। অথচ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগকর্মী সবুজ ও মোহনের নেতৃত্বে তার অনুসারী নজরুল সিকদারের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুলকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মালেক শেখ জানান, হামলাকারীরা কেউ আওয়ামী লীগ বা শফিকুল ইসলাম শিমুলের লোক নয়।

রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সদর থানার ওসি জালাল উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আক্রমণকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হকসহ আহতদের মধ্যে তিন জন উপস্থিত ছিলেন।