বগুড়ায় তিন প্রিজাইডিং অফিসারকে শোকজ

বগুড়াবগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা তাদের শোকজ করেন। একইসঙ্গে তিন দিনের মধ্যে অনুপস্থিত থাকার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিন প্রিজাইডিং অফিসার হলেন- জালশুকা হাবিবর রহমান কলেজের প্রভাষক আব্দুল লতিফ, ধুনট মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক শহিদুল ইসলাম খাঁন ও সোনাহাটা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সুনীল চন্দ্র বসাক।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বগুড়া-৫ আসনের আওতাভুক্ত ধুনট উপজেলার ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। ওই প্যানেলের সদস্যদেরকে গত ১৩ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু, কলেজ শিক্ষক আব্দুল লতিফ, শহিদুল ইসলাম খাঁন ও সুনীল চন্দ্র বসাক অনুপস্থিত ছিলেন। পরে ১৫ ডিসেম্বর সহকারী রিটার্নিং অফিসার তাদের শোকজ করেন। একইসঙ্গে তিন দিনের মধ্যে অনুপস্থিত থাকার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) এই কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার পর প্রভাষক আব্দুল লতিফ ও শহিদুল ইসলাম খাঁন জানান, শারীরিক অসুস্থতার জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিতে পারেননি।

প্রভাষক সুনীল চন্দ্র বসাক জানান, তার মায়ের অসুস্থতার জন্য তিনি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অনুপস্থিত ছিলেন।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘নির্বাচনি আদেশ অমান্য করা অপরাধ। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত থাকার নির্দেশনা পেয়েও তারা অমান্য করেন। এজন্য তাদের শোকজ করে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।’