বেলকুচি ও চৌহালী তাঁত সমৃদ্ধ এলাকা হওয়ায় এখানে জামায়াত-বিএনপি সমর্থকদের আধিক্য রয়েছে। তাছাড়া তাঁতি সম্প্রদায়ের জ্ঞাতিগোষ্ঠীর প্রতি দুর্বলতা থাকার বিষয়টি কাজে লাগাতে চাইছেন আলিম। এরই মধ্যে তিনি ধুকুরিয়া বেড়া, দৌলতপুর, এনায়েতপুর, ভাঙ্গাবাড়ি, নাগগাঁতী, রাজাপুর, শমেসপুর ও সুর্বনাসারা গ্রামে ৮/১০টি ছোটবড় নির্বাচনি পথসভা ও গণসংযোগ করেছেন তিনি।
আলিমের ভাষ্য, ‘পথসভা বড় হয়ে গেলে পুলিশ ও সরকারি দলের নজর পড়ে। সেজন্য ৮/১০টি ছোটবড় সভা করে বাকিগুলো বাদ দিয়েছি। জনসভা করলে নেতা-কর্মীদের নানান বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ধরপাকড় তো আছেই।’
সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর) আসনের বিএনপি প্রার্থী রোমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, সিরাজগঞ্জ-২ আসন (সদর ও কামারখন্দ) বিএনপি প্রার্থী টুকুর স্ত্রী বেগম রুমানা মাহমুদ, সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) আসনে বিএনপি প্রার্থী আব্দুল মান্নান তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৪ উল্লপাড়া) ঐক্যজোট প্রার্থী জামায়েতের কেন্দ্রীয় নেতা মওলানা রফিকুল ইসলাম খান এবং সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে প্রার্থী ডক্টর এমএমুহিত প্রচার-প্রচারণায় আলিমের তুলনায় অসুবিধায় আছেন।
বেলকুচি থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেনের দাবি, পুলিশ অহেতুক কাউকে গ্রেফতার করে না। বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও পুলিশের কাজে বাধাদানকারী পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের শুধু ধরা হয়।
সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ আলীর ভাষ্য, ‘পুলিশ কাউকেও অযথা হয়রানি করে না। রির্টানিং অফিসারের মাধ্যমে খবর পেয়ে কোনও আচরণবিধি লঙ্ঘনের খবর পেলেই পুলিশ সাধ্যমত চেষ্টা করে।’