কৃষিজমি নষ্টের মাধ্যমে পুকুর খনন: ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা

নাটোরনাটোরের বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলায় আবাদি কৃষিজমি নষ্ট করে অধিক লাভের আশায় পুকুর খননের দায়ে দুইজনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) বড়াইগ্রাম উপজেলার নওদা জোয়ারী এলাকার খোরশেদ আলমকে ৫০ হাজার এবং গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের রায়পুর কালিবাড়ি এলাকাযর সামাদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদনান মাহমুদ।  জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বড়াইগ্রাম এবং গুরুদাসপুর উপজেলায় কৃষিজমি রক্ষায় পুকুর খনন বন্ধে অভিযান শুরু হয়। জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। নওদা জুয়াড়ি এলাকার খোরশেদ আলমকে কৃষিজমি নষ্ট করে পুকুর খননের দায়ে আটক করা হয়। অপরদিকে গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের রায়পুর কালীবাড়ি এলাকায় তিন ফসলি কৃষিজমি নষ্ট করে পুকুর খননের দায় সামাদকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদনান মাহমুদ দুইজনকে মোট এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
এর আগে চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদে কৃষিজমি রক্ষায় পুকুর খনন বন্ধে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থানীয় কৃষকরা জানান, এক শ্রেণির স্বার্থবাদী মানুষ অধিক লাভের আশায় কৃষিজমি নষ্ট করে একের পর এক পুকুর খনন করে চলেছে। এতে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে এবং মানুষের চলাচলের রাস্তায় এবং বাড়িঘরে পানি উঠছে। তাছাড়াও, দিনমজুররা বেকার হয়ে পড়ছে। এসব সমস্যার সমাধানে পুকুর খনন বন্ধে অবিলম্বে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ কৃষকদের আবেদন আমলে নিয়ে সকল প্রকার পুকুর খনন বন্ধ ঘোষণা করেন। জেলা প্রশাসক জানান, আইন অমান্য করে যারা পুকুর খনন করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পুকুর খননকারীদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।