সংসদে সংরক্ষিত আসনের জন্য বগুড়া থেকে ২৫ জনের মনোনয়নপত্র ক্রয়

বগুড়া

জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হতে বগুড়ার অন্তত ২৫ নারী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য, চিকিৎসক, আইনজীবী ও সাবেক জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। তাদের অধিকাংশেরই রাজনীতির মাঠের সঙ্গে সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। তাদের মধ্যে অনেকে আবার স্বামী, বাবা, মা ও আত্মীয়ের অবদানকে পুঁজি করে সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে চান। কেউ কেউ আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিহত স্বজনদের জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ি করে হাইকমান্ডের কৃপা লাভের চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব কথা বলেন।

এখন পর্যন্ত যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, সাবেক এমপি বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কামরুন নাহার পুতুল, সাবেক এমপি জেলা মহিলা লীগের সভাপতি খাদিজা খাতুন শেফালি, তার বোন সাংগঠনিক সম্পাদক হাসনা খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. সামসুন নাহার শেফালী, জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরাইয়া নিগার সুলতানা ডরোথী, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লাইজিন আরা লীনা, একই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডালিয়া খাতুন রিক্তা, জেলা মহিলা লীগের যুগ্ম সম্পাদক হেফাজত আরা মিরা ও স্বপ্না চৌধুরী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপা, জেলা আওয়ামী লীগের যুব বিষয়ক সম্পাদক সাগর কুমার রায়ের স্ত্রী সুমনা রায়, কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যাংকার রাজিয়া সুলতানা পান্না প্রমুখ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত মনোনয়ন ক্রয়ের শেষ সময় ছিল। আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। কেউ কেউ ঢাকা থেকে আবার অনেকে বগুড়া ফিরে সাধ্যমত হাইকমান্ডে তদবির করছেন। 

এদিকে সকল প্রার্থী জেলার উন্নয়ন ছাড়াও মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত বগুড়া জেলা গঠন এবং নারী উন্নয়নে ভুমিকা রাখার অঙ্গীকার করছেন। সাবেক এমপি শেফালী ও পুতুল জানান, তারা অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাবেন।

বগুড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ডালিয়া খাতুন রিক্তা জানান, তিনি ছোটবেলা থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভক্ত। ১৯৮৯ সালে বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার সময় থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপর থেকে তিনি এখন পর্যন্ত মাঠের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সকল আন্দোলন সংগ্রমে অংশ নিয়েছেন যা বগুড়ার সবাই যানেন। এমপি নির্বাচিত হলে বগুড়া বিমানবন্দর, পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, একাধিক সরকারি বিদ্যালয় স্থাপন, নারীদের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প ও করতোয়া নদী খননসহ জেলার উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখবেন।

ডা. সামসুন নাহার শেফালি জানান, তিনি চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সুযোগ পেলে জনগণের উন্নয়নে কাজ করবেন। সুরাইয়া নিগার সুলতানা ডরোথী, হেফাজত আরা মিরা, জান্নাতুল ফেরদৌস রূপা, রাজিয়া সুলতান প্রমুখ জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন। তারা প্রত্যেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হতে চান।