আম বাগানে কঠোর মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক

জেলা প্রশাসনের সভাকেউ যেন আম পাকাতে কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করতে না পারেন, সেই বিষয়গুলো কঠোরভাবে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হক। আমচাষি, বাগান মালিক, ব্যবসায়ী, আড়তদার, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিপনণকারীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ কথা জানান। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সভায় হাই কোর্টের আদেশের কপি পর্যালোচনা করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হক।

সভায় জেলা প্রশাসক জানান, আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে এরমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচ উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কেউ যেন আম পাকাতে কোনও রাসায়সিক ব্যবহার করতে না পারেন, সেই বিষয়গুলো তারা কঠোরভাবে মনিটরিং করবেন। 

জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হক বলেন, ‘আম বাগান নিয়ে আদালতের দেওয়া আদেশের কপি আমরা পেয়েছি। আদালতের ওই আদেশে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, আম পাকানোর ক্ষেত্রে কোনও কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা যাবে না।’ তবে আমের উৎপাদন পর্যায়ে চাষিরা সরকার অনমোদিত যেসব ছত্রাকনাশক বা রাসায়নিক বিষ ব্যবহার করে থাকেন, সে ব্যাপারে কোনও বিধিনিষেধ নেই আদালতের রায়ে। বাগান পরিচর্যার কাজে কৃষি কর্মকর্তাদের লিখিত পরামর্শ নিয়ে পরিমিত মাত্রায় রাসায়নিক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয় সভা থেকে।

অনুষ্ঠিত সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মঞ্জুরুল হুদা, আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জমির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। 

সম্প্রতি রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে আম পাকানো নিষিদ্ধ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ রাজশাহী অঞ্চলের আমবাগানগুলোতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। এই অবস্থায় বাগান পরিচর্যার ক্ষেত্রেও কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে কি না, তা নিয়ে জেলার আমচাষিদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমচাষিদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা কাটাতেই জেলা প্রশাসন ওই সভার আয়োজন করে।