বুলবুল কলেজের শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার ২, ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত

পাবনানকলে বাধা দেওয়ার ঘটনায় পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের শিক্ষক মাসুদুর রহমানকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) রাতে কলেজ অধ্যক্ষ এস এম আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চার জনকে আসামি করা হয়।

মামলার পর রাতেই পাবনা সদরের মালঞ্চি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত দুই আসামি সজল ইসলাম ও শাফিন শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সজল ইসলামের বাবার নাম মো. শাহেদ আলী। তার বাড়ি ঈশ্বরদীর গোকুল নগরে। অন্যদিকে শাফিন শেখের বাবার নাম মো. ইউসুফ আলী শেখ।

এদিকে শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠায় কলেজ ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে পরীক্ষায় নকল করতে না দেওয়ায় গত ১২ মে কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে কলেজের গেটে মারধরের শিকার হন শিক্ষক মাসুদুর রহমান। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া সেই হামলার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

প্রভাষক মাসুদুর রহমান এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন।

কলেজ অধ্যক্ষ এস এম আব্দুল কুদ্দুস জানান, শিক্ষক সমিতিসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার দুইজনকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়।

গ্রেফতার দুই জন কলেজের শিক্ষার্থী কিনা বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

তবে ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি শিবলী সাদিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তদন্তের স্বার্থে সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দুইজন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত নয়।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক জানান, বিষয়টি স্পর্শকাতর। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ রাতেই দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।

 

আরও পড়ুন:
নকলে বাধা দেওয়ায় শিক্ষককে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা