মারা গেলেন হাত কেটে নেওয়া সেই সাক্ষী

নাটোর

 

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মারা গেছেন সফুরা হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী জালাল উদ্দিন। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ওই মামলার সাক্ষী দিতে যাওয়ার সময় উপর্যুপরি কুপিয়ে জালাল উদ্দিনের ডান হাত কেটে ফেলে সন্ত্রাসীরা। এসময় তার বাম হাত ও পায়ের রগও কেটে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।  নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও  জানান, নিহত জালাল উদ্দিন নাটোরের গুরুদাসপুরের সফুরা হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী হলেও তিনি আরেকটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। এছাড়াও তাদের পারিবারিক বিরোধ ছিল। তদন্তের পর জালাল উদ্দিনকে হত্যার সঠিক কারণ জানা যাবে।

নিহত জালাল উদ্দিন গুরুদাসপুর উপজেলার যোগেন্দ্রনগর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।

গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালের ১৩ মে উপজেলার যোগিন্দ্র নগর গ্রামের সফুরা নামে এক নারীকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সফুরার ভাই বাদী হয়ে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সাইফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম  ও রফিকুল ইসলামসহ আরও কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় জালাল উদ্দিনকে প্রধান স্বাক্ষী করা হয়। 

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার আগে বাদীপক্ষের আইনজীবী স্বপনের বাড়িতে যাওয়া পথে যোগেন্দ্রনগর বাজারের কাছে জালাল উদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে তার ডান হাত বিচ্ছিন্ন করে দেয় সন্ত্রাসীরা। এসময় তার বাম হাত ও পায়ের রগ কেটে যায়। স্থানীয়রা জালালকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে,পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, হামলাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে।