এলাকাবাসীরা জানান,বদরুল কৃষিকাজ করলেও মাঝে মধ্যে চুরি করতেন। বুধবার মধ্য রাতে গণকপাড়া গ্রামের হাবিল মিয়ার একটি গরু চুরি হয়। ঘটনাটি মাইকে প্রচার করা হয়। পরে গ্রামবাসীরা প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে গাবতলী উপজেলা সীমানা সংলগ্ন টাইগাড়ি বিলের কাছে গরুসহ বদরুলকে আটক করেন। এরপর তাকে তেনজু মেম্বারের বাড়ির কাছে এনে একটি গাছে বেঁধে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ম্বোর ঘটনাস্থলে আসেন। তবে তিনি বদরুলকে উদ্ধার বা হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করেননি। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে বদরুল মারা যান। এরপর সারিয়াকান্দি থানার ওসিকে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বদরুলের লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
মাবিয়া বলেন, ‘আমার স্বামী গরু চোর নয়, তিনি কৃষিকাজ করতেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নারচি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ নিয়ে তেনজু মেম্বারের সঙ্গে আমার স্বামীর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে বুধবার রাত ১২টার দিকে মেম্বারের নেতৃত্বে ৬-৭ জন আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে গরু চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।’ তিনি খুনিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
বদরুলের স্ত্রীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তেনজু বলেন, বদরুলের সঙ্গে তার কোনও বিরোধ ছিল না। গরু চুরি করায় জনগণ তাকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তবে তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলেও বদরুলকে উদ্ধার বা হাসপাতালে নিতে পারেননি। দুই ঘণ্টা দেরিতে ওসিকে খবর দেওয়ার কথাও তিনি স্বীকার করেন।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি আল-আমিন জানান, গ্রামবাসীরা দাবি, চুরি করা গরুসহ ধরা পড়লে বিক্ষুব্ধ জনগণ বদরুলকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আবার তার স্ত্রী দাবি করছেন,নির্বাচন নিয়ে বিরোধে তেনজু ও তার লোকজন বদরুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন। দু’পক্ষের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মামলা হয়নি এবং এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি।