চারশ টাকার বিনিময়ে মিলছে প্রশংসাপত্র

পাবনাপ্রশংসাপত্র বিতরণে টাকা নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও ঈশ্বরদী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে চারশ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের থেকে এ টাকা নেওয়া হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষের নির্দেশে অফিস সহকারী প্রশংসাপত্র দেওয়ার সময় জনপ্রতি ৪শ টাকা করে আদায় করছেন। ওই টাকা না দিলে স্কুল থেকে প্রশংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, ‘প্রশংসাপত্র বানাতে খরচ হয়েছে বড়জোর ১০ টাকা। সেখানে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা নিতে পারে। অধ্যক্ষ তার একক সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী প্রতি ৪শ টাকা করে আদায় করছেন। এবার ১২৮ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করেছে। সে হিসেবে শুধু প্রশংসাপত্র বিতরণ করেই ৫১ হাজার ২শ টাকা আয় করবেন তিনি। ওই টাকার কোনও হিসাব না দিয়ে অধ্যক্ষ একা ভোগ করবেন ওই অবৈধ অর্থ। এভাবে বিভিন্ন পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত ফিসহ নানা ফিয়ের নামে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করেন অধ্যক্ষ। যার কোনও হিসাব দেন না তিনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন বলেন, ‘এটি একটি বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল। আমি আসার আগে থেকেই স্কুল পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রশংসাপত্র বিতরণে জনপ্রতি ৪শ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।’

উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেলিম আক্তার বলেন, ‘প্রশংসাপত্র বিতরণে কোনও টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।’