সারিয়াকান্দিতে রতন হত্যায় স্ত্রীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়াবগুড়ার সারিয়াকান্দিতে কাপড় ব্যবসায়ী ফেরদৌস আলম রতন হত্যার ঘটনায় স্ত্রী, শ্বশুর, শ্যালক ও শ্যালিকাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। নিহতের বাবা মোস্তাফিজার রহমান শনিবার (২২ জুন) সকালে সারিয়াকান্দি থানায় এ মামলা করেন।

সারিয়াকান্দি থানার ওসি আল-আমিন জানান, এজাহারভুক্ত আসামি স্ত্রী রূপা আকতার, শ্যালক রফিকুল ইসলাম ও রূপার প্রেমিক বাসচালক খালেক মন্ডল বিপ্লবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাদের বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ ও গ্রামবাসী জানান, ফেরদৌস আলম রতন সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড়ইকান্দি গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের ছেলে। তিনি প্রায় ১৭ বছর আগে দেবডাঙ্গা গ্রোয়েন বাঁধে বসবাসকারী দুলু প্রামানিকের মেয়ে রূপা আকতারকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। ফেরদৌস আলম রতন বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তৈরি পোশাকের ব্যবসা করতেন। ঈদের আগে বাড়িতে এসে আর দোকানে যাননি। ১৯ জুন সন্ধ্যার দিকে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বের হন। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকালের দিকে যমুনা নদীর চর কুমারপাড়ায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসিড বা অন্য কোনও দাহ্য পদার্থ দিয়ে তার চোখ ঝলসানো, মাথা ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সন্ধ্যার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের বাবা মোস্তাফিজার রহমান শনিবার সকালে থানায় দায়ের করা এজাহারে অভিযোগ করেন, তার ছেলে রতনের দুজন বন্ধু ছিল। এদের একজন মথুরাপাড়ার শহীদ কবির ও অন্যজন বগুড়ার শাজাহানপুরের শ্মশানকান্দির বাসচালক খালেক মন্ডল বিপ্লব। তাদের সঙ্গে তার ছেলের বউ রূপার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার ধারণা, প্রেমে বাধা দেওয়ায় তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।