উল্লাপাড়ার সেই রেলক্রসিংয়ে এখন গেটম্যান ও বাঁশের ব্যারিয়ার

উল্লাপাড়ার রেল ক্রসিংয়ে বাঁশের ব্যারিয়ারদুর্ঘটনায় ১১ জনের প্রাণহানির পর টনক নড়লো পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের। সলপ স্টেশনের অদূরে অরক্ষিত সেই রেলক্রসিংয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিলো পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগ। সেখানে পাকশী থেকে বিপ্লব কুমার দাস নামের একজনকে গেটম্যান নিযুক্ত দেওয়া হয়েছে এবং রেলক্রসিংয়ের দু’পাশে বাঁশের অস্থায়ী ব্যারিয়ার দেওয়া হয়েছে।

বর ও কনেসহ ১১ জনের নিহতের ঘটনায় এ রেলক্রসিংটি আলোচনায় আসে। এ দুর্ঘটনার পর সেখানে এ ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

উল্লাপাড়ার সেই রেল ক্রসিংসিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার ওসি হারুন মজুমদার জানান, রেলক্রসিংয়ের দু’পাশে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী ব্যারিয়ার দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) থেকে একজন গেটম্যানকে  নিযুক্ত করা হয়েছে। রেলক্রসিংয়ের আধকিলোমিটার এলাকার গাছপালা সব কেটে ফেলা হয়েছে। দু’-একদিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হবে।

অরক্ষিত রেল ক্রসিংপশ্চিম রেলওয়ের পাকশী ডিভিশনের বিভাগীয় প্রকৌশলী (ডিইএন) আরিফুল ইসলাম জানান, ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথে ঈশ্বরদী থেকে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম অংশে ১৪টি অরক্ষিত রেলক্রসিং রয়েছে। এই মুহূর্তে রেলওয়ের লোকবল খুব কম। মোট ৩০০ জন গেটম্যান প্রয়োজন। সেখানে তাদের রয়েছে ১১০ জন। ফলে অরক্ষিত ক্রসিংগুলোতে লোক নিয়োগ সম্ভব হয়নি। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে মাস্টাররোলে অস্থায়ী ভিত্তিতে গেটম্যান নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাকশী ডিভিশনের আওতায় সব অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে গেটম্যান নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অরক্ষিত রেল ক্রসিংপশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশীর বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মিজানুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে গেটম্যান নিযুক্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় একজনকে অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় উল্লাপাড়ার চরঘাটিনা গুচ্ছগ্রাম থেকে একটি বিয়ের মাইক্রোবাস সলপ স্টেশনের অদূরে অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এত মাইক্রেবাসের সামনের বাম্পার আটকে যায় ইঞ্জিনের সঙ্গে। মাইক্রোবাসটিকে অন্তত আধা কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি। এতে বর-কনেসহ মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়।