ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কামারদের ব্যস্ততা। একদিকে হাপরে আগুনের শিখা অন্যদিকে হাতুরির টুংটাং শব্দে তৈরি হচ্ছে দা, বটি, ছুরি ও চাপাতি। শহর কিংবা গ্রাম সবখানেই কামাররা এখন ব্যস্ত।
রাণীনগর উপজেলার বিভিন্ন কামারের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানি দাতারা কোরবানির পশু কাঁটার জন্য দা, ছুরি ও বটিতে শাণ দেওয়ার জন্য কামারদের কাছে আসছেন। আবার কেউ আসছেন নতুন দা, বটি, ছুরি কেনার জন্য। ফলে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কামারদের বিরামহীন ব্যস্ততা।
চাপাতি ও চাকু ধার দিতে আসা রাতোয়াল গ্রামের বীছর উদ্দীন বলেন, ‘প্রতি বছরের মতন এ বারও চাপাতি ও চাকু ধার দিতে আসছি। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে বসে আছি এখনো সিরিয়াল পাইনি।’
সীম্বা গ্রামের সুলতাস বলেন,‘অন্য সময় যেটা ধার করতে ২৫ টাকা লাগতো এখন তা ৪০ টাকায় করতে হচ্ছে। যে চাকু অন্য সময় ১৫০ টাকায় পাওয়া যেত এখন তা ২৭৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এখন সব কিছুর দাম দ্বিগুণ বলে তিনি জানান।
কামার ভবান চন্দ্র মহন্ত বলেন, ‘স্প্রিং লোহা ও কাঁচা লোহা দুই ধরনের লোহার দাম বেড়ে গেছে। স্প্রিং লোহা দিয়ে তৈরি উপকরণের মান ভালো, দামও বেশি। আর কাঁচা লোহার তৈরি উপকরণগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে কম। লোহার মানভেদে চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০ থেকে ২০০, দা ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, বঁটি ২০০ থেকে ৪০০, চাপাতি ৫০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,‘বছরের বাকি সময় হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হয়। কোরবানির ঈদ আসলেই বেচা-বিক্রি বেড়ে যায়।’