বগুড়ায় ১১৬ ডেঙ্গু রোগীর হাসপাতালে ঈদ





বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন একজন ডেঙ্গু রোগীবগুড়ার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ১১৬ জন ডেঙ্গু রোগীকে ঈদ করতে হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ ও মোহাম্মদ আলী হাসপাতালেই ঈদ করেছেন ৬৩ জন পুরুষ, ১৫ জন নারী ও পাঁচ শিশু। অন্যান্য বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে ৩৩ জন রোগী ঈদ করেছেন। বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজিম চৌধুরী এসব তথ্য জানান।

জানা যায়, গত ৪০ দিনে বগুড়ায় দুই সরকারি হাসপাতালে ৪৩৭ জনসহ মোট ৫১৮ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবদুল ওয়াদুদ জানান, মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই হাসপাতালে ৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। গত ৪০ দিনে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নেন ৪০৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩১৭ জন। ছয় জন উন্নত চিকিৎসা নিতে ঢাকায় যান। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮০ জন। ঈদের ছুটিতে ডেঙ্গু রোগী বাড়ার আশঙ্কায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হলেও রোগী তেমন বড়েনি।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আরএমও ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত এই হাসপাতালে মোট ৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ২৯ জন ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। দু’জনকে বগুড়া শজিমেকে পাঠানো হয়েছে।
ডা. গওসুল আজিম চৌধুরী জানান, গত কয়েকদিনে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ৪০৩ জন, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৩৪ জন এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালে ৮১ জনসহ ৫১৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১৬ জন। এর মধ্যে শজিমেকে ৮০ জন, মোহাম্মদ আলীতে তিন জন, শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ জন, আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন, রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ১৪ জন, শামসুন্নাহার ক্লিনিকে পাঁচ জন, ইসলামী হাসপাতালে তিন জন, ডক্টরস ক্লিনিক ইউনিট-২ এ তিন জন ও সিটি ক্লিনিকে দুই জন। 
সিভিল সার্জন বলেন, ‘বগুড়ায় ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ভয়ের কোনও কারণ নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের ডেঙ্গু মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে।’