যমুনায় ডুবে নিখোঁজ দুই ভাইয়ের একজনের লাশ উদ্ধার

ওমর বিন আতিক (বাঁয়ে) ও জাহিদ বিন আতিক (ডানে)বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীতে ডুবে নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই ওমর বিন আতিকের (১৫) লাশ পাওয়া গেছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা পাকুরিয়া চর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করেছেন। ছোট ভাই জাহিদ বিন আতিককে (১৩) উদ্ধারে অভিযান চলছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে পাকুরিয়া চরে খেলার সময় যমুনা নদীতে পড়ে যাওয়া বল তুলতে গিয়ে দুই ভাই নিখোঁজ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী শহরের আটাপাড়া এলাকার প্রতিবেশী চাচা মাসুম বিল্লাহ জানান, ওমর বিন আতিক বগুড়া শহরের আটাপাড়া ওয়াপদা এলাকার হোমিও চিকিৎসক আতিকুর রহমানের বড় ছেলে। সে শাহীন ক্যাডেট স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়তো। নিখোঁজ ছোট ছেলে জাহিদ বিন আতিক একই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। শুক্রবার সকালে তারা ১১ জন আনন্দ ভ্রমণে সারিয়াকান্দি উপজেলায় যায়। অটোরিকশা থেকে নেমে যমুনা নদীর কালিতলা ঘাট থেকে নৌকায় পাকুরিয়া চরের দিকে রওনা হয়। বেলা পৌনে ১২টার দিকে নৌকা পাকুরিয়া চরে ভিড়ে। এ সময় তারা সবাই নৌকা থেকে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদের সঙ্গে ভ্রমণে আসা ডা. আতিকুর রহমানের দুই ছেলে ওমর ও জাহিদ আগেই বল নিয়ে নেমে খেলতে শুরু করে। বল নদীতে পড়লে সেটি আনতে দুই ভাই পানিতে নামে। এ সময় তারা দুজন প্রবল স্রোতে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হয়।

সারিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আল আমিন জানান, শুক্রবার দুপুরে দুই ভাই ডুবে যাওয়ার পর তারা প্রায় ৩ ঘণ্টা নদীতে সন্ধান করেও উদ্ধার করতে পারেননি। বগুড়ায় ডুবুরি না থাকায় রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল আনা হয়। ডুবে যাওয়া স্থান থেকে প্রায় ৩৫ গজ দক্ষিণে পাকুরিয়া চরে যমুনা নদী থেকে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ওমর বিন আতিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশটি চাচা মনিরুজ্জামান মনির বুঝে নিয়েছেন। নিখোঁজ জাহিদকে খোঁজার কাজ চলছে।