রুয়েট শিক্ষক রাশিদুলের বাসায় ফজলে হোসেন বাদশা

রুয়েট শিক্ষক রাশিদুলের বাসায় ফজলে হোসেন বাদশাবখাটেদের হাতে শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষক রাশিদুল ইসলামের বাসায় গেছেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। এ সময় তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘রাজশাহী শান্তির নগরী। এই শহরে বখাটেদের দৌরাত্ম্য বাড়তে দেওয়া হবে না। ঘটনার খবর শুনেই তিনি রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য বলেছেন।’

সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যার পর রাজশাহী নগরীর মহিষবাথান এলাকায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের বাসায় যান। এ সময় তিনি শিক্ষক রাশিদুলসহ তার বাবা, মা ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। আশ্বাস দেন সব সময় পাশে থাকার।

সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাকে কাছে পেয়ে শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই শহরে আমি জন্ম নিয়েছি, পড়াশোনা করেছি। এই শহরে শিক্ষকতা করছি। আর এই শহরেই বখাটেদের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হওয়াটা ভীষণ কষ্টের। বখাটেদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। রাজশাহীর সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে হলে সব বড় সড়কে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসাতে হবে। তা না হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে, কিন্তু অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবে না। রাজশাহীর সুনাম তখন নষ্ট হবে। বাইরের জেলা থেকে কেউ এলে অনিরাপদ মনে করবে।’

শিক্ষক রাশিদুল ইসলামকে সান্ত্বনা দিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘জীবনে অনেক ধরনের ঘটনা ঘটে। কিন্তু, এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অপরাধীরা যেন শাস্তির মুখোমুখি হয়, তার জন্য তিনি সব ধরনের পদক্ষেপ নেবেন।’

উল্লেখ্য, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রাশিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ১০ আগস্ট রাজশাহী শহরের সাহেব বাজার মণিচত্বরে কতিপয় বখাটে ও সন্ত্রাসীদের হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হন। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর শিক্ষক রাশিদুল ইসলামের স্ত্রী তাবাসুম ফারজানা বোয়ালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।