বিউটি খাতুন গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের ধানুড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন জানান, ২৮ জুলাই রাত ১১টার দিকে বিউটি গোপনে বাবার মোবাইল ফোন থেকে তাকে ফোন করে জানায়, বিয়ের বয়স না হওয়ার পরও পরিবারের পক্ষ থেকে তার বিয়ে ঠিক করা হয়েছে। এতে তার কোনও সম্মতি নেই। বিয়ে বন্ধের জন্য সে সহযোগিতা চায়। এরপর তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন। প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ের আয়োজন করবে না—এই মর্মে বিউটির অভিভাবকদের কাছ লিখিত নেন তিনি।
এ বিষয়ে বিউটি জানায়, তাকে পুরস্কৃত করার বিষয়টি প্রচার হলে অনেক মেয়েই তার পথ অবলম্বন করে শুধু নিজেই বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পাবে না; বরং বাল্যবিয়ে বন্ধে সরকারের কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করবে। পুরস্কৃত করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানায় সে।