জয়পুরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

 

জয়পুরহাট

জয়পুরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী একেএম নজমুল হাসানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে এক নারী মামলা করেছেন। ওই নারী বগুড়ার প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। বিচারক একেএম ফজলুল হক শুনানি শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এ ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বগুড়া জজকোর্টের অ্যাডভোকেট রেজাউল হক রজব এ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রকৌশলী একেএম নজমুল হাসান বগুড়া শহরের সূত্রাপুর রিয়াজ কাজী লেনের মৃত নজিব উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী একেএম নজমুল হাসান দুই সন্তানের জননী ও ডিভোর্স এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০১১ সালের ২ নভেম্বর বগুড়া শহরের কালিতলার ভাড়া বাসায় কাজী ডেকে তাকে ‘ইজাব কবুলে’ বিয়ে করেন। এরপর থেকে নজমুল হাসান ও ওই নারী স্বামী-স্ত্রী হিসেবে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করছেন। সম্প্রতি ওই নারী রেজিস্ট্রি কাবিননামা করতে চাপ দিলে তিনি নানা অজুহাতে ও কৌশলে এড়িয়ে যান। চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি ওই নারী আবারও রেজিস্ট্রি কাবিননামা করতে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ভয়ভীতি দেখান। ওইদিন রাত ১১টার দিকে তাকে বিভিন্ন প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। তিনি সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর ওই নারীর সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ভরণপোষণও বন্ধ করে দেন। উপায় না দেখে ওই নারী গত ২ আগস্ট নজমুল হাসানের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। তখন তিনি সম্পর্ক ও বিয়ের কথা অস্বীকার এবং তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখান। এছাড়া তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। কোনও উপায় না দেখে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে তিনি স্থানীয় থানায় মামলা করতে যান। থানায় মামলা না নেওয়ায় তিনি গত ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা করেন। আদালত শুনানি শেষে এজাহারটি আমলে নিয়ে পিবিআই বগুড়াকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

জয়পুরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী একেএম নজমুল হাসানের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে তিনি অন্য সাংবাদিকদের কাছে ওই নারীকে রেজিস্ট্রি ছাড়া বিয়ে ও ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, তাকে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।

জয়পুরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী জানান, তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ বা অন্য কোনও অপরাধ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।