বাগমারায় মা-ছেলে হত্যা মামলায় তিন জনের মৃত্যুদণ্ড


নিহত মা ও ছেলেরাজশাহীর বাগমারার দেউলা গ্রামের আকলিমা বেগম (৪৫) ও ছেলে জাহিদ হাসান (২৫) হত্যা মামলায় তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড ও চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত চার আসামির প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মামলার সব আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল। রায় ঘোষণার পর আদালতের নির্দেশে তাদের রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, আবুল হোসেন (৫২), হাবিবুর রহমান হাবিব (৪০) ও আবদুর রাজ্জাক (৩৫)। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, আব্দুল্লাহ আল কাফি (২২), রুহুল আমিন (৩০), রুস্তম আলী (২৬) ও মনিরুল ইসলাম ওরফে মনির (২৩)।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরাপ্রধান আসামি আবুল হোসেনের বাড়ি বাগমারায়। সে সম্পর্কে আকলিমার দেবর। অন্য আসামির বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০১৯ সালের এপ্রিলেই মামলাটি জেলা জজ আদালত থেকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। মামলাটিতে ৫১ জন সাক্ষী ছিলেন। আদালত ৪৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এরপর বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

জানা গেছে, বাগমারার দেউলা গ্রামে নিজ বাড়িতে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর রাতে আকলিমা বেগম ও তার ছেলেকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আকলিমার বড় ছেলে দুলাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে বাগমারা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলে। তিন দফা বদল করা হয় তদন্ত কর্মকর্তা। সর্বশেষ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটির তদন্ত করে। এরপর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য বেরিয়ে আসে। পরে ২০১৮ সালের ৩১ মে আদালতে পিবিআইয়ের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে সাত জনকে অভিযুক্ত করা হয়।