নাটোরে আনসার সদস্যসহ দুই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার

নাটোরনাটোরের বাগাতিপাড়া এবং লালপুর উপজেলায় এক আনসার সদস্যসহ দুই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে নিজ নিজ শয়নকক্ষ থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, তাদেরকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। বাগাতিপাড়া থানার ওসি আব্দুল মতিন এবং লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আনসার সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন ওরফে সায়রা (৩৪)। তিনি লালপুর উপজেলার চং ধূপইল গ্রামের শাহীনের স্ত্রী। আরেকজন রেহেনা বেগম (৬০) বাগাতিপাড়া উপজেলার জয়ন্তী পুর গ্রামের সাফাতুল্লাহ স্ত্রী।
লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, আনসার সদস্য সাবিনার স্বামী শাহিন করিমপুর এলাকার ফার্নিচার নির্মাতা। দুর্গা পূজার ডিউটি শেষে মঙ্গলবার রাতে সাবিনা নিজ ঘরে শুয়ে ছিল। রাত তিনটার দিকে সাবিনার দাদি বাইরে যেতে চাইলে বাহির দিক থেকে দরজা বন্ধ পায়। এক পর্যায়ে তার চিৎকারে বাড়ির অন্য সদস্যরা ঘর থেকে বের হলেও সাবিনা বের হয়নি। পরে ডাকাডাকির একপর্যায়ে ঘরে যাওয়ার পর সাবিনার গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হলে সকালে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবিনার স্বামী শাহীনকে আটক করা হয়েছে।
অপরদিকে বাগাতিপাড়ায় নিহত রেহেনার মেজ ছেলে রানা জানান, রাতে তারা মা বাসায় শুয়ে ছিলেন। গভীর রাতে বাড়ির মধ্যে কাঁচ ভাঙার শব্দে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসতে থাকলে বাড়ির মধ্যে থেকে একজন ছাদ বেয়ে নিচে নেমে দৌড়ে পালিয়ে যায়। অনেক দূর ধাওয়া করেও তাকে ধরা যায়নি। পরে বাড়িতে প্রবেশ করে তার মা’র মৃতদেহ দেখতে পান তারা। এ সময় ঘরের বিভিন্ন জিনিস ছড়ানো এবং কাঁচের জিনিস ভাঙা পাওয়া যায়।
রানার দাবি, তার মাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
বাগাতিপাড়া থানার ওসি আব্দুল মতিন এবং লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এবং ঘটনার তদন্তের পরই হত্যার রহস্য জানা যাবে।