শ্মশানঘাটে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হলেন সুভাষ রোজারিও

এসপির সম্মেলন কক্ষে বাউল সুভাষ রোজারিও (ছবি– প্রতিনিধি)

প্রায় একমাস পর কুষ্টিয়া থেকে বাউল শিল্পী সুভাষ রোজারিওকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাতে কুষ্টিয়ার হরিনারায়ণপুর শ্মশানঘাট থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সুভাষ রোজারিওকে কেউ অপহরণ করেনি; তিনি ধ্যানের জন্য স্বেচ্ছায় নিভৃত স্থানে অবস্থান নিয়েছিলেন।

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল চামটা গ্রামের বোর্নী সম্প্রদায়ভুক্ত লুকাস রোজারিওর ছেলে সুভাষ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে সুখ্যাত বাউল শিল্পী। অনেকে তাকে ‘খ্যাপা বাউল’ বলে ডাকেন।

বাউল সুভাষ রোজারিও (ছবি– প্রতিনিধি)

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নিজ সম্মেলন কক্ষে সুভাষ রোজারিওকে হাজির করেন পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা। এসময় এসপি জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুভাষ রোজারিও সিএনজিযোগে পাবনার চাটমোহর রেলস্টেশনে যান। সেখানে চা ও বিস্কুট খেয়ে দোকানে আধ্যাত্মিক গান শোনেন। পরে মোবাইল ফোন ও ব্যাগ দোকানে রেখে ধ্যানের জন্য নিভৃত স্থানের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন। যদিও ওই দিন তার গাজীপুরে যাওয়ার কথা ছিল। সুভাষ রোজারিওকে আদালতের মাধ্যমে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।

সুভাষ রোজারিওকে জীবিত ফেরত চেয়ে মানববন্ধন

এ ঘটনায় নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় সুভাষ রোজারিওকে জীবিত অবস্থায় ফেরত চেয়ে মানববন্ধন হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নাটোর পুলিশ সুভাষ রোজারিওর সন্ধানে নামে।

সুভাষ রোজারিও বলেন, ‘আমি যোগ সাধনার জন্য স্বেচ্ছায় নিভৃত স্থানে গিয়েছিলাম। এই জগৎ ও আত্মীয়দের মায়া ত্যাগ করে আবারও আমি ধ্যানের জন্য নিভৃত স্থানে যাবো।’ তবে তার সন্ধান চেয়ে যারা মানববন্ধন, বিক্ষোভ করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন– 

পাবনায় বাউলকে ‘অপহরণ’, টাকা দিয়েও মুক্তি মেলেনি