পাবনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সব কর্মকর্তার পদত্যাগ দাবি

 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাপাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রশাসনের সব কর্মকর্তার পদত্যাগ চেয়ে এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। ১২ দফা দাবি পূরণের আল্টিমেটামের সময়সীমা পার হওয়ায় বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে তারা এক দফা দাবি জানান।

শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) তারা ১২ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়া উপাচার্যের সঙ্গে নিয়োগ প্রার্থী এক যুবকের অডিও বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন, তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, রিজেন্ট বোর্ডে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি রাখা, ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য গবেষণা বরাদ্দ, খেলার মাঠ উপযোগী করা, শহীদ মিনার নির্মাণ, গরিব শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ বা বিনা বেতনে অধ্যয়ন, ছাত্র কল্যাণ ফান্ড গঠন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষক হিসেবে পদায়ন, শিক্ষার্থীদের তথ্য সমৃদ্ধ যুগোপযোগী ওয়েবসাইট তৈরি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কৃতজ্ঞতা স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাস্কর্য নির্মাণ।

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স শিক্ষার্থী ও উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেন। তার আহ্বানে উপাচার্য এম রোস্তম আলীর সঙ্গে বৈঠকে বসে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে উপাচার্য দাবি পূরণের মৌখিক আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা লিখিত প্রতিশ্রুতি দাবি করেন।

দাবির বিষয়ে লিখিত বিজ্ঞপ্তি না পাওয়ার কারণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপাচার্য ড. এম রোস্তম আলীসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা স্বাভাবিক রেখে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দেন তারা।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি উপাচার্য।

উল্লেখ্য, সোমবার (২৮ অক্টোবর) থেকে প্রথমে চার দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার চার দফা থেকে সরে এসে ১২ দফা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। বুধবার ১২ দফা থেকে সরে এক দফা দাবি দিলেন তারা।