মাদ্রাসাছাত্রীর লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি ধর্ষণের পর হত্যা

নাটোরনাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গরফা মৎস্যজীবী পাড়ায় এক মাদ্রাসাছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম হালিমা (১২)। রবিবার (৩ নভেম্বর) রাত তিনটার দিকে ওই গ্রামের এক বটগাছ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে পরিবারের দাবি, রাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হালিমাকে হত্যা করে বটগাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
হালিমা ওই গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় গরফা উলুম দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
বড়াইগ্রাম থানার এসআই তারেক, ওসি দীলিপ কুমার এবং স্থানীয় ইউপি মেম্বার আনতাজুল ইসলাম আন্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মেম্বার আনতাজুল জানান, হালিমা সম্পর্কে তার মামাতো বোন। দীর্ঘদিন একই গ্রামের মুসার ছেলে লাদেন উত্ত্যক্ত করতো হালিমাকে। বিষয়টি বারবার ওই ছেলের পরিবারকে জানানোর পর গত ৪-৫ মাস আগে ছেলেটিকে বিয়ে দেয় তার পরিবার। এরপরও তার উত্ত্যক্ত থেকে রক্ষা পায়নি মেয়েটি।
আনতাজুল আরও জানান, রবিবার সন্ধ্যার দিকে হালিমার বাবা স্থানীয় এক দোকানে বসেছিল। এ সময় তার সামনে থেকে হালিমাকে ডেকে নিয়ে যায় লাদেন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করেও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাত ১টার দিকে ওই গ্রামের কিছু মৎস্যজীবী মাছ ধরতে যাওয়ার সময় বটগাছে মৃতদেহটি ঝুলতে দেখে। খবর পেয়ে রাত তিনটার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এসআই তারেক জানান, স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, মেয়েটির সঙ্গে ওই ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি দীলিপ কুমার জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।