স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগে স্বামী গ্রেফতার

গ্রেফতার মোরশেদুল ইসলাম ও তার স্ত্রীবগুড়ার নন্দীগ্রামে স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগে স্বামী মোরশেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।  

নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবীর জানান, মার্জিয়া আকতার রূপালীর (২০) মা মঞ্জুয়ারা বেগম দুপুরে থানায় মেয়ে জামাই, বেয়াই ও বেয়াইনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মোরশেদুলকে শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

ওসি শওকত কবীর জানান, মোরশেদুল দাবি করেছেন স্ত্রী বাড়িতে থাকতে চায় না। তাই লজ্জায় যেন বাড়ির বাইরে যেতে না পারে, সেজন্য তাকে ন্যাড়া করে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউসুবপুর গ্রামের বাড়িতে তাকে মারধরের পর মাথা ন্যাড়া করে ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মোরশেদুল ইসলাম ট্রাকচালক। তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলার ইউসুবপুর গ্রামের মোশাররফ হেসেনের ছেলে। প্রায় নয় মাস আগে নাটোরের সিংড়া উপজেলার পাঁচপাকিয়া গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে মার্জিয়া আকতার রূপালীকে বিয়ে করেন।

রুপালীর মা মঞ্জুয়ারা বেগম জানান, বিয়ের সময় মেয়ে জামাইকে নগদ দেড় লাখ টাকা ও অন্যান্য জিনিস দেন। বিয়ের পর জামাই পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এজন্য  আরও দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় স্বামী ও শাশুড়ি বেবি খাতুন তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। বুধবার দুপুরে রূপালীর হাত থেকে আচারের বয়াম পড়ে ভেঙে যায়। এ নিয়ে রূপালীর সঙ্গে শাশুড়ির ঝগড়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে মোরশেদুল বাড়ি ফিরে ঘটনা জানতে পেরে রূপালীকে মারধর করেন। এরপর বাথরুমে নিয়ে ব্লেড দিয়ে তার মাথা ন্যাড়া করে দেন। এ সময় শাশুড়ি বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ফিরে এসে রূপালীর চুলগুলো ফেলে দেন এবং তাকে ঘরে আটকে রাখেন। পরে রূপালী মোবাইলফোনে ঘটনাটি তার মা মঞ্জুয়ারা বেগমকে জানান। শুক্রবার সকালে তিনি এসে গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় মেয়ে রূপালীকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ মোরশেদুলকে গ্রেফতার করে।