আটক চার জঙ্গিবগুড়ায় জেএমবির উত্তরাঞ্চলীয় প্রধানসহ চার জঙ্গিকে গ্রেফতার এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার পাকুড়তলা বাসস্ট্যান্ডে গোপন বৈঠকের সময় পুলিশ হেড কোয়াটার্সের এলআইসি ও বগুড়া জেলার গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা তাদের গ্রেফতার করেন। ডিবি পুলিশের এসআই ফিরোজ সরকার বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে রবিবার (২৪ নভেম্বর) আদালতে হাজির করা হবে। পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরা হলেন, পুরনো জেএমবির উত্তরাঞ্চলের (রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ) দাওয়াতি বিভাগের প্রধান (এহসার) আতাউর রহমান ওরফে হারুন ওরফে আরাফাত (৩৪),উত্তরাঞ্চলের বায়তুল মাল প্রধান ও নওগাঁ জেলার দায়িত্বশীল (এহসার) মিজানুর রহমান ওরফে নাহিদ ওরফে মোরছাল (৪২), তার জামাতা ও গাইবান্ধা জেলার দায়িত্বশীল (এহসার) জহুরুল ইসলাম ওরফে সিদ্দিক (২৭) এবং জেএমবির বগুড়া জেলার দায়িত্বশীল (গায়েরে এহসার) মিজানুর রহমান (২৪)।
উদ্ধার করা অস্ত্র ও বিস্ফোরকপুলিশ সুপার জানান, শনিবার রাত দেড়টার দিকে জঙ্গিরা শিবগঞ্জের পাকুড়তলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে গোপন বৈঠক করছিলেন। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। আরও ২-৩ জন পালিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ানশুটার গান, থ্রিনটথ্রি রাইফেলের তিন রাউন্ড গুলি, দু’টি চাপাতি, একটি চাকু, এক কেজি বিস্ফোরক, ৮টি গ্রেনেড বডি, ১০টি গ্রেনেড তৈরির সার্কিট, ১০০কে ৩০টি রেজিস্ট্যান্স, ১০০কে ১৫টি ক্যাপাসিটর, একটি তাতাল, ১০টি ভেরো বোর্ড, পাঁচটি ব্যাটারি, ২০টি চুনি বাল্ব, ১৫টি সুইচ, একটি সার্কেট মিটার, এক কোয়েল রাং, দুটি রঞ্জন, ১৫টি লক কেবল, ১০০০কে ১৫টি ক্যাপাসিটর ও ২ গ্রোস সাইকেলের চাকার বল পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, বগুড়ার দায়িত্বশীল নেতা মিজানুর রহমানের সহযোগিতায় তারা সমবেত হয়েছিলেন। তবে তাদের নাশকতার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। এদের রাজনৈতিক কোনও পরিচয় নেই। তাদের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক মামলা হয়েছে। অস্ত্র ও বিস্ফোরকের উৎস, তাদের সঙ্গে আর কে কে ছিলেন এবং তাদের কী পরিকল্পনা ছিল সে সম্পর্কে জানতে চার জঙ্গি আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হবে।