দুর্নীতির মামলায় পৌর মেয়রসহ ৫ জন কারাগারে

বগুড়াদুর্নীতির মামলায় বগুড়ার গাবতলী পৌরসভার মেয়র সাইফুল ইসলামসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ নরেশ চন্দ্র সরকার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলো- পৌর সচিব শাহীন মাহমুদ, এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল মজিদ, পৌর প্রকৌশলী আমিনুর রহমান ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর সামসুল আলম।

জামিন পেয়েছেন সাবেক সংরক্ষিত কাউন্সিলর আফরোজা খাতুন।

দুদকের স্পেশাল পিপি আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০১৫ সালে গাবতলী পৌরসভায় একটি উন্নয়ন কাজে ৮২ লাখ টাকার টেন্ডার হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে অখ্যাত পত্রিকায় টেন্ডার দেন ও নিম্নমানের কাজ করে বিপুল অংকের টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে আতাউর রহমান নামে এক ঠিকাদার বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতে উল্লিখিত ৬ জন ও ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের সাবেক প্রকৌশলী আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্তকারী ২০১৬ সালে ৭ আসামির বিরুদ্ধে আদালত চার্জশিট দাখিল করেন। আসামিদের মধ্যে প্রকৌশলী আবুল হাশেম গ্রেফতার হয়ে জেলে যাওয়ার পর হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন নেন। মেয়র সাইফুল ইসলাম, সচিব শাহীন মাহমুদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল মজিদ, পৌর প্রকৌশলী আমিনুর রহমান, সাবেক পৌর কাউন্সিলর সামসুল আলম ও সাবেক সংরক্ষিত কাউন্সিলর আফরোজা খাতুন হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের জামিন লাভ করেন। তাদের নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সোমবার ৬ আসমি বগুড়া সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে পিপি আবদুল মতিন ও দুদকের পিপি আবুল কালাম আজাদ এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু ও অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম মামলা পরিচালনা করেন।