ভারতে গরু আনতে গিয়ে কেউ নিহত হলে সরকার দায়িত্ব নেবে না: খাদ্যমন্ত্রী

Rajshahi-Food-Minister-News-25.01.20-(2)ভারতে অনুপ্রবেশ করে গরু আনতে গিয়ে গুলি খেয়ে কেউ নিহত হলে সরকার কোনও দায়িত্ব নেবে না। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজশাহীতে এ কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এদিন দুপুরে জেলার পবা উপজেলার দামকুড়াহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরকজয়ন্তী (গৌরবের ৭৩ বছর) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় তিনি জানান, যে দুই বাংলাদেশি ভারত সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন, তাদের মরদেহ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

গত ২২ জানুয়ারি খাদ্যমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকা পোরশা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি নিহত হন। বক্তৃতায় এ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আসলে আমাদের চরিত্র ভালো না হলে পরের দোষ দিয়ে লাভ নাই। আমরা গরুর বিট খুলতে দেবো না। এজন্য আমাদের উপজেলা ও জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি ও বিজিবির রেজ্যুলেশন করা হয়েছে। এরপরও কেউ যদি জোর করে কাঁটাতারের বেড়া কেটে গরু আনতে গিয়ে গুলি খেয়ে মারা যান, তার দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকার নেবে না।’

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফেসবুক ও ইউটিউবের কারণে যুবকদের নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে। তাই এগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে হবে। ছোটবেলা থেকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশপ্রেম গড়ে তুলতে হবে। এ ব্যাপারে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশপ্রেম না থাকলে শিক্ষার কোনও মূল্য নেই। অভিভাবকদেরও এ ব্যাপারে নজরদারি থাকতে হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেক অভিভাবক আছেন, যারা ছেলেমেয়েদের খোঁজখবর রাখেন না, এতে ছেলেমেয়েরা বিপথে যেতে পারে। মোবাইল যাতে ভালো কাজে ব্যবহার হয়, সে ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে।’

Rajshahi-Food-Minister-News-25.01.20-(4)খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের যে ভিশন—উন্নত রাষ্ট্রে উপনীত হওয়া, তা প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বের ফলে ২০৩১ সালের মধ্যেই অর্জিত হবে। দেশে খাদ্য নিরাপত্তা আছে, এখন প্রয়োজন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে। লেখাপড়ার মূল লক্ষ্য শুধু চাকরি পাওয়া নয়, একজন আদর্শ মানুষ হওয়াটাই বেশি প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিসিকের (অব.) এজিএম আব্দুল লতিফ সভাপতিত্ব করেন। মূল আলোচক ছিলেন রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোকবুল হোসেন, পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুনসুর রহমান ও পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে গুণিজন সংবর্ধনা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।