ধুনটে জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে দুই শিক্ষক

 

01বগুড়ার ধুনটের গোসাইবাড়ি কেও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক ও সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম শহীদ বেদিতে জুতা পায়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তার এই ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

কয়েকজন শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সকালে গোসাইবাড়ি কেও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর উদ্যোগ নেন। প্রধান শিক্ষক এনামুল হক ও সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ওঠে শ্রদ্ধা জানায়।

এদিকে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের শহীদ মিনার অবমাননার খবর রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে জনগণের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নিন্দার ঝড় ওঠে।

ফেসবুকে অনেকে লিখেছেন, এ ঘটনা দেশ ও জাতির জন্য লজ্জার। শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষার বিষয়ে শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা কী শিক্ষা নেবে?’

কামরুল হাসান নামে একজন ফেসবুকে মন্তব্য করেন, একজন প্রধান শিক্ষক হিসেবে শহীদ মিনারে জুতা পায়ে? তার এ ধরনের কাজে ধিক্কার জানাই এবং তার চরম শাস্তি চাই।

অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘শিক্ষকরা যদি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে না পারেন, তাহলে তাদের কাছ থেকে কোমলমতি ছেলেমেয়েরা কী শিক্ষা পাবে?

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বলেন, ‘শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় পায়ে জুতা থাকার কথা মনে ছিল না। এর জন্য আমি লজ্জিত। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না।’

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, ‘দুই শিক্ষক মনের অজান্তে এ কাজটি করেছেন। ওই সময় আমি বিষয়টি লক্ষ্য করিনি। পরে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।

ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, ‘শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ওঠার ঘটনাটি দুঃখজনক। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন,‘তদন্ত করে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’