জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি, ৫ পুলিশ সদস্যের কারাদণ্ড

জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেওয়ার ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে আড়াই বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের দণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম এই আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে সাজেদুর রহমান, একই এলাকার কাউছার ওরফে বেলুর ছেলে জোবায়ের হোসেন ওরফে পলাশ, নলডাঙ্গা উপজেলার কাটুয়াগাড়ী এলাকার বাবুল মোল্লার ছেলে সাইদুর রহমান, একই এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে আমির আলী এবং গুরুদাসপুর উপজেলার হাঁসমারি গ্রামের মৃত মজিদ মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম।

নাটোরের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুর রহমান এবং পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কনস্টেবল হিসেবে প্রশিক্ষণ চলাকালে ওই পুলিশ সদস্যদের জাল সনদের বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০১১ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় দণ্ডপ্রাপ্তরা পুলিশ সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাইয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত পাঁচ পুলিশ সদস্যের সার্টিফিকেট ভুয়া হিসেবে তদন্তে বেরিয়ে আসে। এরপর ২০১২ সালে নাটোর পুলিশ লাইন্সের আরআই ওয়ান মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে ওই পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।