নওগাঁয় সব সাপ্তাহিক হাট, হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ

নওগাঁকরোনাভাইরাস প্রতিরোধে নওগাঁ জেলার সব হাটবাজার, হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে হোটেল ও রেস্তোরাঁ থেকে প্রয়োজনীয় খাবার কিনে বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে। জেলা প্রশাসকক মো. হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জেলার সব সাপ্তাহিক হাটবাজার, হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কেউ ইচ্ছা করলে এসব হোটেল ও
রেস্তোরাঁ থেকে তাদের প্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী ক্রয় করে বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন। হোটেল রেস্তোরাঁয় বসে আড্ডা দিয়ে খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এদিকে নওগাঁ জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো ব্যক্তির সংখ্যা
বাড়ছে। রবিবার বেলা ১০টা থেকে সোমবার বেলা ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৪৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো ব্যক্তির সংখা দাঁড়ালো মোট ১ হাজার ২৭৪ জন।

সিভিল সার্জন আখতারু জ্জামান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ১০টি উপজেলায় উপজেলাভিত্তিক হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর সংখ্যা হচ্ছে সদর উপজেলায় ৫৮ জন, রানীনগর উপজেলায় ৩ জন, বদলগাছি উপজেলায় ২ জন, মহদেবপুর উপজেলায় ৭ জন,
সপাহার উপজেলায় ৫ জন, ধামইরহাট উপজেলায় ৫ জন, মান্দা উপজেলায় ১০ জন, আত্রাই উপজেলায় ৩১ জন, পত্নীতলা উপজেলায় ২৩ জন এবং পোরশা উপজেলায় ৩ জন।

এ সময় নিয়ামতপুর উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে কাউকে পাঠানো হয়নি। সর্বমোট ছাড়পত্রপ্রাপ্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬১ জন-এ। বর্তমানে হোম কোয়রেন্টিনে রয়েছেন ১ হাজার ১১৩ জন।

এছাড়াও নওগাঁ সদরে একজন, ধামইরহাটে একজন ও পত্নীতলায় চার জনসহ মোট ৬ জন হোম কোয়ারেন্টিন থেকে বের হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে ১ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।