করোনায় ফটোগ্রাফার থেকে হোম ডেলিভারির ব্যবসায় টনি

ছবি তুলছেন টনিছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল ফটোগ্রাফার হবেন। কাজও করছিলেন। কিন্তু করোনা টনির সেই স্বপ্নে খানিকটা ভাটা ফেললো। পেশা বদল করে এখন তিনি নিজেদের মুদি দোকান থেকেই সদাইপাতি হোম ডেলিভারি দেওয়ার ব্যবসা করেছেন। সংকট কেটে গেলে আবারও ফটোগ্রাফি শুরু করার আশায় আছেন টনি।

নাটোর শহর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে দিঘাপতিয়া উত্তরা গণভবনের পাশেই দিঘাপতিয়া বাজার। সেই বাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী রহমত আলীর ছেলে টনি। পুরো নাম ইউনুস আলী টনি। চার ভাইবোনের মধ্যে টনি সবার বড়।

টনি জানান, ছোটবেলা থেকেই ফটোগ্রাফির প্রতি আগ্রহ থাকায় ২০১৬ সালে তিনি এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন। এরপর ভালোমানের একটি ক্যামেরা কিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি তোলা শুরু করেন। বিয়ে, জন্মদিন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছবি তুলতেন তিনি। ঘণ্টায় দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকায় কাজ করতেন। আবার ৩-৪ দিনের জন্য ১০-১২ হাজার টাকার কন্ট্রাকে কাজ করতে যেতেন। করোনার কারণে এখন সব অনুষ্ঠান বন্ধ তাই তার কাজও বন্ধ।

নিজেদের দোকানে কাজ করছেন টনি

ম্যানেজমেন্টে অনার্স ফাইনালের পরীক্ষার্থী টনি জানান, ২০ রোজা থেকে দিঘাপতিয়া বাজারে নিজেদের দোকান থেকে রহমত হোম ডেলিভারির কাজ শুরু করেন। তার সহযোগী হিসেবে ছোট ভাই ইয়াছিন আলী ছাড়াও আরও তিন যুবক রয়েছে। হোম ডেলিভারির লাভের ১০ ভাগ তিনি তার সহযোগীদের দেন।

তার দোকানে মুদি, কসমেটিকস সামগ্রী, কাঁচা সবজি, মাছ, খাবারসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। এসব পণ্য চাহিদামতো ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দেন তিনি।

টনি বলেন, এলাকার একমাত্র হোম ডেলিভারি শপ হওয়ায় তার ব্যবসা ভালো চলছে।

দিঘাপতিয়া বাজার সমিতির সাবেক সভাপতি শাহজাহান আলী জানান, শিক্ষিত যুবক টনির ব্যবসা একদিকে যেমন লাভজনক, অপরদিকে তা করোনাকালে অত্যন্ত উপকারী ও সেবামূলক। 

হোম ডেলিভারি যাচ্ছে

টনির ছোট ভাই জানান, হোম ডেলিভারির ব্যবসায় তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। ব্যবসার পাশাপাশি তিনিও ভাইয়ের কাছ থেকে ফটোগ্রাফি শিখছেন।

টনি বলেন, ফটোগ্রাফিই তার স্বপ্ন। হোম ডেলিভারি ব্যবসা করছেন এই সময়ের জন্য। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি আবারও ফটোগ্রাফারের কাজ শুরু করবেন। পাশাপাশি থাকবে হোম ডেলিভারির ব্যবসাও।