রামেকে করোনায় ব্যবসায়ী এবং উপসর্গে পল্লি চিকিৎসকের মৃত্যু

রামেকরাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যবসায়ী এবং উপসর্গ নিয়ে একজন পল্লি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সকালে ব্যবসায়ীর এবং বুধবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাতে পল্লি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।

তারা হলেন—নওগাঁ সদর উপজেলার পাড়নওগাঁ এলাকার মৃত শ্যামাপদ দাসের ছেলে পল্লি চিকিৎসক রতন কুমার দাস এবং রাজশাহী নগরীর মালোপাড়া ভুবনমোহন পার্ক এলাকার ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন (৫৮)।

রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, রাজশাহীর ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেনের করোনা পজিটিভ ছিল। তিনি হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তাকে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

তিনি আরও জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় রতন কুমারকে নওগাঁ হাসপাতাল থেকে রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয়। ২৯ নম্বর করোনা ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করে রাতেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে পরীক্ষার আগে রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়। তাদের দুই জনের দাফন ও সৎকার করার জন্য কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

রতন কুমারের ছেলে সজিব কুমার জানান, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তার বাবা। তাই করোনার পরীক্ষা করাতে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঁচ দিন আগে নমুনা দেওয়া হয়। কিন্তু রিপোর্ট পাননি। বুধবার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়াসহ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যায় তাকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এদিকে, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মেহেদি হাসান জানান, স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী তাদের দাফন ও সৎকার করা হয়।